এসবিএন ডেস্কঃ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধ্যাপকদের মধ্যে শতকরা ২৫ জন দ্বিতীয় গ্রেড থেকে প্রথম গ্রেডে পদোন্নতি পাবেন। অষ্টম বেতন কাঠামোর বৈষম্য নিরসনে গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্তের পর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, “আমরা খুবই খুশি। যে দাবি আদায়ে সংগ্রাম করেছিলাম, তা আদায় হয়েছে। নতুন বেতন কাঠামোয় যে বড় জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তার অবসান হল।”
জ্যেষ্ঠ সচিবদের মতো সুপার গ্রেডেও উন্নীত হওয়ার সুযোগ দাবি করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। এ বিষয়ে অধ্যাপক ফরিদ বলেন, ‘‘জ্যেষ্ঠ সচিবদের সমপর্যায়ে অধ্যাপকদের পদোন্নতি দিতে নতুন পদ সৃষ্টি করতে হবে।’’
“আইনমন্ত্রী আমাদের বলেছেন, বেতন বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এখতিয়ারে এই বিষয়টি নেই। তাই এ বিষয়ে আমরা শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ে প্রস্তাব পাঠাব। নতুন পদ সৃষ্টির বিষয়ে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন পদ সৃষ্টিতে কাজ করবে।”
এর আগে সচিবালয়ে ‘বেতন বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, “প্রচলিত নিয়ম অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ অধ্যাপক পদে পদোন্নতি বা পদায়ন পাবেন।
অধ্যাপক পদে চার বছর কোয়ালিফায়িং চাকরির মেয়াদ এবং স্বীকৃত জার্নালে গবেষণাধর্মী নতুন দুটি আর্টিকেল প্রকাশের শর্তে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে দ্বিতীয় গ্রেড প্রাপ্ত হবেন।’’
তিনি বলেন, “দ্বিতীয় গ্রেডপ্রাপ্ত অধ্যাপকগণ মোট কোয়ালিফায়িং চাকরির মেয়াদ ন্যূনতম ২০ বছর এবং দ্বিতীয় গ্রেডের সীমায় পৌঁছানোর ২ বছর পর জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রথম গ্রেড প্রাপ্ত হবেন। তবে এই সংখ্যা মোট অধ্যাপকের শতকরা ২৫ ভাগের বেশি হবে না।”
অষ্টম বেতন কাঠামোয় সিলেকশন গ্রেডে ও টাইম স্কেল বাতিল হলে তা নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশন। এক পর্যায়ে কর্মবিরতিও শুরু করেন শিক্ষকরা, এরপর সরকারের আশ্বাসে ওই কর্মসূচি থেকে ফিরে আসেন। অবশেষে তাদের সেই দাবি আদায় হলো।