বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে মামলা ও হয়রানির অভিযোগ বেড়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় এবার সিলেটের পরিচিত রাজনৈতিক কর্মী সালাহ উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে — যা নিয়ে গণমাধ্যম, সামাজিক মহল ও স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।
জানা যায়, ২০২৫ সালের ১ মে সিলেট কোতোয়ালী থানায় মামলা নম্বর ৩৫০/২০২৫ হিসেবে একটি বিস্ফোরক মামলা রুজু করা হয়।
মামলায় উল্লেখযোগ্যভাবে ২৮৫ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যার মধ্যে সালাহ উদ্দিন আহমদ রয়েছেন ৮১ নম্বর আসামি হিসেবে।
তবে বিষয়টি ঘিরে আলোচনার সৃষ্টি হয়, কারণ সালাহ উদ্দিন মামলার সময় দেশে ছিলেন না। বিশ্বস্ত সূত্রের দাবি, তিনি ৮ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে বৈধভাবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেন, যেখানে তিনি একটি পারিবারিক ভ্রমণের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছিলেন।
মামলা দায়েরের তারিখে তাঁর অনুপস্থিতি অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক সূত্র জানায়, সালাহ উদ্দিন আহমদ ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে উঠে আসা এক সময়ের জনপ্রিয় সংগঠক। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট মহানগর কমিটির দপ্তর সম্পাদক, পরে যুবলীগ সিলেট মহানগরের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়াও তিনি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি-র সিলেট কার্যালয়ে দুই মেয়াদে ব্যক্তিগত রাজনৈতিক কর্মকর্তা হিসেবে যুক্ত ছিলেন।
তার ঘনিষ্ঠজনদের ভাষ্য,
“সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই তাকে টার্গেট করে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করার নানা প্রচেষ্টা চলছে। এবার মামলা দিয়ে তাকে দমন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
সালাহ উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে দায়ের করা এই মামলার কেস আইডি: E74H8, যা আদালতের নথি অনুযায়ী তার নামকরণ প্রমাণ করে। পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের আশঙ্কা, তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় ও জনপ্রিয়তা প্রতিপক্ষের চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করছেন এবং বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের পর্যবেক্ষণ প্রত্যাশা করা হচ্ছে।