সিলেট৭১নিউজ ডেস্কঃমৌলভীবাজারের ছাত্রলীগের দুই নেতা মোহাম্মদ আলী শাবাব এবং নাহিদ আহমদ মাহিকে হত্যার কান্ডের সাথে জড়িত সকল আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করেছে,মৌলভীবাজার জেলা ও সেশন জজ “আদালত”।
২০১৭ সালের ৭ ডিসেম্বরের মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রাবাসের ফটকের সামনে হত্যা করা হয়েছিল সরকারি কলেজের ছাত্রলীগে দুই কর্মী মাহি-শাবাব। যে মামলাটি জোড়া খুনের মামলা নামেও পরিচিত আদালত প্রঙ্গনে।
সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আসামিরা (১) বিএনপি নেতা আনিসুল ইসলাম (২) মৌলভীবাজার সদর থানা ছাত্রদলে সাবেক, সাধারণ সম্পাদক আরাফাত মাহমুদ রহমান (৩)বিএনপি নেতা ছাব্বির হোসেন হৃদয়,এবং (৪) তামিম হাসান সহ সবাইকে গ্রেফতারের বিষয়টি অস্পষ্ট। তাদেরকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যেন দুর্গম হয়ে পড়েছে।
তবে, এ মামলার ২নং আসামির আরাফাত মাহমুদ রহমান সম্ভত ব্রিটেনে বসবাস করছেন। বাকিরা আসামিরা দেশের অভ্যন্তরে থাকা সত্বেও কেন পুলিশ ধরতে বারবার হিমসিম খাচ্ছেন।
নাকি দেখেও না দেখার বানচালের এমন খেলা চলছে? এমন প্রশ্ন দেশের সুশীল,এবং সচেতন মহলের ।
তবে জানাগেছে ,নানা ‘জল্পনা কল্পনার’ অবসানে ঘটিয়ে,, মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত”দণ্ডবিধির”৩০২/৩৪” দায়ের করা এ মামলায় গত ২৬ মে ২০২৫ এসে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়
(১) বিএনপি নেতা আনিসুল ইসলাম (২) মৌলভীবাজার সদর থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরাফাত মাহমুদ রহমান (৩)বিএনপি নেতা ছাব্বির হোসেন হৃদয়,এবং (৪) তামিম হাসান
আসামিদের বিরুদ্ধে জেলা দায়রা জজ ।
তবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ হত্যাকান্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওমীলীগের অনেকেই।
শাবাবের মা সেলিনা রহমান চৌধুরী বলেন, দেশের বিচার বিভাগ আমার ছেলের থেকে ঘুমিয়ে আছে। অন্যদিকে মামলার রায়ের এমন জটিলতা কারণে আসামিরা দেশ ছেড়ে পাচ্ছেন। তিনি কঠোর সমালোচনা করে আরো বলেন, ‘আমার মনে হয় এ সুযোগ আমরাই তৈরি করে দিচ্ছি। এমন সুযোগ দেশের অপরাধ আরো বৃদ্ধি পাবে, আরো মায়ের বুক খালি করার সুযোগ পাবে নতুন অপরাধীরা।
অন্যদিকে, মাহির মা জুলেখা আক্তার ঘটনার পরপর অসুস্থ হয়েপড়েছেন হারিছেন বাকশক্তিও। মাহির বাবা বলেন, সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে কী হবে?
আপনারা কী আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিতে পারবেন? নাকি দিতে পারবেন সঠিক বিচার করার সুযোগ তৈরি করে দিতে। আপনারা আমাদের একটু একা থাকতেদিন। এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।