তবে এই সিদ্ধান্ত যে অধিনায়ক মাশরাফির কাছে এখনও বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না। আগামীকাল সোমবার ব্যাঙ্গালুরে সুপার টেনে বাংলাদেশ শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে।
সেই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি মুর্তজা বলেই দিলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, তাসকিনের প্রতি আইসিসি সুবিচার করেনি। আশা করি তারা ওর প্রতি সুবিচার করবে।’
এ জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবিকেও দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান তিনি।
টাইগার দলনেতা বলেন, ‘পরীক্ষার মাধ্যমে তার (তাসকিন) অ্যাকশনে এমন অবৈধ কিছু পাওয়া যায়নি, এমনটাই আমরা শুনেছি। তারপরও কেন তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে? এর উত্তর আমার জানা নেই।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাসকিন-সানিকে না পাওয়া বড় ‘আঘাত’ বলে মানেন মাশরাফি। তবে বলেন, ‘আমাদের প্রথম কাজ হবে জয়ের জন্য মাঠে নামা। প্রতিপক্ষ নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই।’
এ সময় তাসকিন না থাকায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খেলছেন বলেও জানান মাশরাফি।
মুস্তাফিজকে নিয়ে করা ভারতীয় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই ম্যাচে মুস্তাফিজকে খেলাতেই হচ্ছে।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে পুরো গেমপ্ল্যান পরিবর্তন করতে হচ্ছে জানিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘ওরা (তাসকিন-সানি) থাকলেও জয় কঠিন ছিল। আঘাতটা এমন সময় এসেছে, সবকিছু আরও কঠিন হয়েছে। তবে আগামীকালের (সোমবার) ম্যাচে অনেক কিছু নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে।’
বাংলাদেশের সমর্থকরা সব সময়ই পাশে থেকেছে উল্লেখ করে টাইগার দলনেতা বলেন, ‘সমর্থকরা সব সময় পাশে থেকেছে, এখনও আছেন। তারাই আমাদের মূল শক্তি, তাদের সমর্থন নিয়েই আমরা এগিয়ে যাব।’
উল্লেখ্য, টি ২০ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে আম্পায়াররা পেসার তাসকিন ও স্পিনার আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন সন্দেহজনক বলে আইসিসিতে রিপোর্ট করেন।
এরপর তারা দু’জনেই চেন্নাইতে আইসিসি অনুমোদিত ল্যাবে বায়ো-মেকানিক্যাল পরীক্ষা দেন, যার ফল গতকাল শনিবার প্রকাশ করে আইসিসি।
এতে তাসকিন এবং সানির বোলিং অ্যাকশন অবৈধ ঘোষণা করে তাদের সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয়। ফলে দু’জনেই টি ২০ বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যায়।
পরে আরাফাত সানির জায়গায় সাকলাইন সজীব এবং তাসকিন আহমেদের জায়গায় শুভাগত হোম শনিবার রাতের বিমানে ব্যাঙ্গালুর যান। রোববার সকালে তারা দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে অনুশীলন করেছেন।