এসবিএন ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশ হতো না। তার কারণেই দেশ আজ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৬তম জন্মবার্ষিকীতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর শিশু-কিশোর সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ স্বাধীন না হলে আমাদের নিজস্ব কিছু থাকত না। আর দেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুকে বারবার মৃত্যুর মুখে দাঁড়াতে হয়েছে। ফাঁসি দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। সব দুর্যোগ মোকাবিলা করে লক্ষ্য ঠিক রেখে তিনি এগিয়ে গেছেন।’
তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর মধ্যে দেশপ্রেম ছিল। ছোটবেলায় তিনি নিজের গায়ের কাপড়, বই, ছাতা অন্যদের দিয়ে দিতেন। আর এসব বিষয়ে দাদা-দাদি কখনো আপত্তি করেননি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এদেশের মাটিতে বড় হয়েছেন। এদেশের গরিব মানুষের কষ্ট তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন। তাদের দু’বেলা ভাতের জন্য, তাদের স্বাধীনতার জন্য তিনি সংগ্রাম করেছেন। তিনি এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য ৬ দফা দাবি দিয়েছেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের মানুষকে ভালোবেসে একজন মানুষ কতটা আত্মত্যাগ করতে পারেন বঙ্গবন্ধু তার দৃষ্টান্ত। তিনি জাতিকে নিজস্ব পরিচয়ের সুযোগ করে দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের দুভাগ্য, যারা স্বাধীনতা চাননি তারা পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছে। যে অশুভ শক্তি ৭১-এ পরাজিত হয়েছিল, তারাই সপরিবারে জাতির জনককে হত্যা করে।’
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধপরাধীদের বিচার হচ্ছে। দেশ কলঙ্কমুক্ত হয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন যুদ্ধাপরাধী ও তাদের সহযোগীদের কথায় কেউ বিভ্রান্ত হয় না। দেশের আরো উন্নতি হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছিলেন। আর আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলছি। শিশুর মধ্যে যে সুপ্ত প্রতিভা রয়েছে তা বিকশিত করতে কাজ করছি।’
তিনি শিশুদের সু-নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আজকের শিশুরাই হবে আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী।’
প্রধানমন্ত্রী শিশু-কিশোরদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘মানুষের মতো মানুষ হতে হবে, ভালো করে পড়াশোনা করতে হবে। মা-বাবা ও গুরুজনদের কথা মেনে চলতে হবে।’ তাতেই সার্থকতা, তাতেই যথার্থতা।