এসবিএন ওয়ার্ল্ড ডেস্কঃ ওয়ার্ল্ড ইকোনমকি ফোরাম তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার ২০১৬’ হিসেবে মনোনীত করেছে।
বুধবার বিকেলে সংস্থাটি পলকসহ ৪০ বছরের কম বয়সী বিশ্বের অন্যান্য যুব বিশ্ব নেতাদের নাম তাদের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করে। সাউথ এশিয়ারিজিয়নে পলককে এই মনোনয়ন দেয়া হয়।
পলককে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার ২০১৬’ নির্বাচনের ক্ষেত্রে ফোরাম উল্লেখ করে যে, তার নেতৃত্ব গুণে পেশাদারী কর্ম সম্পাদন, সমাজের প্রতি অঙ্গীকার এবং আগামীর পৃথিবী রূপায়নে সম্ভাব্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই সম্মাননায় ভূষিত করা হলো।
সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক এই থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছরই সারা পৃথিবী থেকে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ঔজ্জ্বল্য ছড়ানো ৪০ বছরের কম বয়সী বিশিষ্ট ব্যক্তিকে এই সম্মাননা প্রদান করে থাকে।
এই মনোনয়নের ফলে জুনাইদ আহমেদ পলক আগামী ৫ বছর ফোরামের সকল কনফারেন্স ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন এবং উক্ত ফোরাম মনোনীত ব্যক্তির অনন্য উদ্যোগে সহযোগিতা করবে বলে উল্লেখ করে।
জার্মানীর হ্যানোভারে অনুষ্ঠিত সেন্টার ফর অফিস অটোমেশন, ইনফরমেশন টেকনোলজি টেলিকমিউনিকেশন-এ অংশগ্রহণরত মন্ত্রীসভার এই কনিষ্ঠতম সদস্য মনোনয়ন প্রাপ্তিতে মোবাইল ফোনে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এই স্বীকৃতিতে আমি সম্মানিত।
এর মাধ্যমে বৈচিত্রপূর্ণ বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আরো বিস্তৃতভাবে কাজ করার সুযোগ তৈরি হলো। আমাদের প্রযুক্তি-সেবী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত এবং বিশিষ্ট প্রযুক্তি ব্যক্তিত্ব সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় পরিচালিত রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে গ্লোবাল ইয়ং লিডার শিপ প্লাটফর্ম তা আরো বৃহৎ পরিসরে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় একটি উন্নত ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে নিজেকে নিয়েজিত রাখতে এবং এই প্লাটফর্মের বিশাল সুযোগ কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আমি অগ্রগামী ভূমিকা পালন করতে চাই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে মানুষদের সব চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন, বাংলাদেশের সেই সকল মানুষকে আমি এই মনোনয়ন উৎসর্গ করছি।’
জুনাইদ আহমেদ পলক মাত্র ২৮ বছর বয়সে ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০১৪ সালে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে বর্তমান মন্ত্রীসভার সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে কর্মকাণ্ড শুরু করেন।
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জন-সাধারণের জীবন-মান উন্নয়নে তিনি অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করে চলেছেন। বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তি, তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর সেবা-শিল্প, উদ্ভাবন, তথ্য প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং ই-গভর্নেন্স ও ই-সেবা প্রদান কার্যক্রম সম্প্রসারণে অসামাণ্য অবদান রেখে চলেছেন।
ইন্টারনেটের বিস্তার, ডিজিটাল কন্টেন্ট সমৃদ্ধি, অনলাইন শিক্ষা, ই-কৃষি, টেলিমেডিসিন, হাই-টেক পার্ক ইত্যাদি কার্যক্রমে তার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ২০০৭ সালে মর্যাদাপূর্ণ এই মনোনয়ন পান।
ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ, গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ, ই-কমার্স সাইট আলী বাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাকমা এবং খ্যাতিমান অভিনেতা লিউনার্দো ডিক্যাপ্রিউ’র মতো প্রখ্যাত ব্যক্তিবর্গও বিভিন্ন সময় ‘গ্লোবাল ইয়ং লিডার’ মনোনয়ন পেয়েছিলেন।