 
								
                            
                       এসবিএন ডেস্ক: বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা চুরি হওয়ায় অবিলম্বে অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ দাবি জানিয়েছে বিএনপি। শুক্রবার বিকেলে ১ সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের অর্থনীতিকে ‘রাবিশে’ পরিণত করার জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান দায়ী।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, খায়রুল কবীর খোকন, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী প্রশ্ন তোলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা হ্যাক হয়ে যাওয়ার পরও তাঁরা এখন দায়িত্ব পালন করছেন কোন নৈতিক অধিকারে?রুহুল কবির রিজভী বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ফান্ড থেকে ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনাকে ইতিহাসের সবচেয়ে ন্যক্কারজনক জালিয়াতি বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, সরকারের লোকজনের সম্পৃক্ততা ছাড়া এত বড় জালিয়াতির ঘটনা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এ টাকা চুরিতে সরকারের প্রভাবশালী মহল ও সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত বলে বাংলাদেশ ব্যাংক স্বীকার করেছে। তিনি অবিলম্বে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব ব্যাংক লুটপাটকারীকে চিহ্নিত করে বিচারের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে নিরাপত্তার কারণে বাংলাদেশ থেকে কার্গো বিমানে মালামাল পরিবহনে যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার ঘটনার কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এর ফলে দেশের তৈরি পোশাকশিল্প বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। ইতিমধ্যে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
রিজভী দাবি করেন, বাংলাদেশ বস্তুত ভয়াবহ অবরোধের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে। এর মূল কারণ হচ্ছে দেশে গণতন্ত্রহীনতা ও জবাবদিহির অভাব। যার ফলে দেশের অর্থনৈতিক খাতে ‘জোর যার মুল্লুক তার’ পরিস্থিতি চলছে।
রিজভী বলেন, “আশ্চর্য্য হলেও সত্য যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা এখন উড়ছে ফিলিপাইনের জুয়ার আসরে।”
বিগত সময়ে পুঁজিবাজার, ডেসটিনিসহ আর্থিক খাতের বিভিন্ন কেলেংকারিতে ‘সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও শাসকদলের নেতৃবৃন্দসহ রাঘব বোয়ালদের’ নাম উঠে এলেও তাদের বিচার না হওয়ায় লুটপাট বেড়ে চলেছে বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ নেতৃবৃন্দ, যারা গত তিন বছরে সরকারি কাজের বাইরে ঠুনকো অজুহাতে সিঙ্গাপুর,ব্যাংকক, হংকং, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, দুবাই ভ্রমণ করেছেন, তাদের পাসপোর্ট যাচাই করে অনুসন্ধান করলেই এই আন্তর্জাতিক জালিয়াত চক্রের রাঘব বোয়ালদের সংশ্রব বেরিয়ে আসবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যাংক অফ নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঞ্চিত অর্থ লোপাটের ঘটনা গত মাসে ঘটলেও তা গত সপ্তাহে ফিলিফিন্সের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
ডেইলি ইনকোয়ারার বলেছে, সুইফট মেসেজিং সিস্টেমে জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ সরানো হয় ফিলিপিন্স ও শ্রীলঙ্কার ব্যাংকে। শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ২ কোটি ডলার মাঝপথে আটকানো গেলেও ফিলিপিন্সের ৫টি অ্যাকাউন্টে নেওয়া ৮ কোটি ডলার ক্যাসিনো হয়ে হংকংয়ে পাচার হয়ে গেছে বলে পত্রিকাটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।