October 30, 2025, 5:08 pm

সংবাদ শিরোনাম :
নিসচা ও প্রশাসনের উদ্যোগে বড়লেখায় নিরাপদ সড়ক দিবস পালন ইম্পেরিয়াল মেডিকেল হাসপাতালের উদ্যোগে ৯ দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প সম্পন্ন ব্যবসায়ী আলী হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টায় রিয়াজ মেম্বারের ভাই গ্রেফতার বড়লেখার রাজনীতিতে পরীক্ষিত নেতৃত্ব প্রভাষক ফখরুল ইসলাম বাংলাদেশীদের জন্য দুবাইয়ের গোল্ডেন ভিসা উত্তরা বিমান দুর্ঘটনা: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫০ : প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব আগস্টে নতুন জুলাই সংবিধান আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক এনসিপির রহমানিয়া টুকা হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসায় নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন সিলেটে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, চলতি বছরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: শিশুর লাশে ভরে গেল ক্যাম্পাস, ২৫ জন আশঙ্কাজনক সিলেট মহানগরীর ১৪নং ওয়ার্ডে তালামীয ইসলামিয়ার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সাংবাদিকের উপরে মিথ্যা মামলা কোম্পানীগঞ্জে ফ্যাসিস্টের দোসরদের পুণর্বাসন নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বে বিএনপি নেতার উপর হামলা মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিচার শুরু কুলাউড়ায় বিএসএফের গুলি, বাংলাদেশির লাশ তুলে নিল ভারত মাহি-শাবাব হত্যার আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি যুক্তরাজ্যে ছবি ভাইরাল: নবীগঞ্জে ওয়ালিদের বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ কুলাউড়া সীমান্তে আবারও পুশইন, ১৪ জন আটক ওসমানী হাসপাতালে সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদ সিলেট সীমান্তে নারী-শিশুসহ ১৬ জনকে আটক হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সাবেক এমপি ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে ছাত্রশিবিরের কোরআন কুইজে হিন্দু শিক্ষার্থীর বিজয় সারা দেশে গণজমায়েতের ডাক এনসিপির প্রতিটি রক্তবিন্দুর প্রতিশোধ নেয়া হবে: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আজহারের আপিল শুনানি শেষ, রায় ২৭ মে এম.সি কলেজ তালামীযের কাউন্সিল সম্পন্ন সিলেটে এবার বিষ্ফোরক আইনে ২৮৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা মিজানকে জড়িয়ে অপপ্রচারের নিন্দা ও হুমকিদাতাকে গ্রেফতারের দাবি সিলেটে সাবেক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সহকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলা: ষড়যন্ত্রমূলক দাবি পরিবারের সুনামগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে বাংলাদেশী নিহত
উত্থান পর্বে বাংলাদেশের অভুতপুর্ব অগ্রযাত্রা, ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন, রয়েছে মহাপরিকল্পনা

উত্থান পর্বে বাংলাদেশের অভুতপুর্ব অগ্রযাত্রা, ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন, রয়েছে মহাপরিকল্পনা

Please Share This Post in Your Social Media

Manual7 Ad Code

এসবিএন ডেস্ক: এশিয়ার উঠতি দেশগুলো আশির দশকে যখন অগ্রগতির পথে দৌড়াচ্ছিল, বাংলাদেশের অবস্থা তখন ছিল জোড়াতালি দিয়ে সংসার চালানোর মতো। টিকে থাকার নিরন্তর সংগ্রামের মধ্যে উন্নয়ন ভাবনার ঠাঁই হয়নি তখন। দারিদ্র্যের সেই দুষ্টচক্র ভেঙে এখন উত্থান পর্ব শুরু হয়েছে বাংলাদেশেরও।

গত কয়েক বছরে রুগ্ন যোগাযোগ অবকাঠামো অতীত হচ্ছে। গ্রামগঞ্জে পাকা রাস্তা হয়েছে, শহুরে মানুষের ভোগান্তি দূর করতে প্রস্তুত হচ্ছে উড়াল সড়ক। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে। সক্ষমতা বেড়েছে বন্দর ব্যবস্থাপনায়।

বিনিয়োগে আগ্রহীদের হতাশা দূর করতে নির্মিত হচ্ছে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এর মধ্যে ৩০টির কাজ শুরু হয়েছে। গ্যাসের অভাব মেটাতে নির্মাণ হচ্ছে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল।

তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতেও অনেক উন্নয়নশীল দেশকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, উন্নয়ন অগ্রগতির চূড়ায় পৌঁছাতে বাংলাদেশের এখন দরকার চীন কিংবা মালয়েশিয়ার মতো স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ আর উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতা।

একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে পারলে দ্রুতই পৌঁছানো সম্ভব মধ্যম আয়ের দেশে। এতে অর্থপাচার বন্ধ হবে, বাড়বে বেসরকারি ও বিদেশি বিনিয়োগ। কর্মসংস্থান ও সরকারের রাজস্ব—দুটোই বাড়বে। আর তখন সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পেছনে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর ক্ষেত্র তৈরি হবে।

বিশ্বের প্রতি ৫ জন মানুষের ১ জন বাস করে যে দেশে, সেই চীন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া সবাইকে পেছনে ফেলে এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি।

চীনের ঐতিহাসিক এই অগ্রগতি পর্ব শুরু হয়েছিল ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বরে, কমিউনিস্ট পার্টির গুরুত্বপূর্ণ নেতা দেং জিয়াও পিংয়ের হাত ধরে। ১৯৯২ সাল পর্যন্ত সংস্কার কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে চীনকে উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে চলার সামর্থ্য দেন তিনি।

মালয়েশিয়ার বিস্ময়কর উত্থান যাত্রাও শুরু হয় কাছাকাছি সময়ে, ১৯৮১ সালে মাহাথির মোহাম্মদ ক্ষমতায় বসার পর থেকে। ২০০৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে থাকাকালে দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। এশিয়ার মুদ্রা বিপর্যয়ের সময়ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) কিংবা বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশন না মেনে সব ধকল নিজে সামলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মালয়েশিয়া।

দেশের ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার আগের ২ বছরে দেশের অধিকাংশ ব্যবসায়ী ছিলেন হয় কারারুদ্ধ, নয় বিদেশে পলাতক। সিডর-আইলায় দুর্গতদের ক্ষত তখনো শুকায়নি। সব ক্ষেত্রেই বিরাজ করছিল এক ধরনের অনিশ্চয়তা।

আগের মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই আস্থাহীনতা কাটাতে তৎপর হয় বর্তমান সরকার। এর পর থেকে উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে, কৃষককে জমিতে, ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টেনে নেওয়ায় মনোযোগী হয় সরকার।

ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ সমস্যা দূর করতে নেওয়া হয় মহাপরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ সংকট দূর করা গেছে। জমির অভাব দূর করতে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে।

এ দুই কাজে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও সঙ্গে নিয়েছে সরকার। উত্তরাঞ্চলের মঙ্গা দূর করছে নতুন জাতের ধানের আবাদ। দক্ষিণাঞ্চলে লবণপানি সহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। টেলিযোগাযোগ খাতে উন্নয়ন মানুষের চাহিদা মেটানোর পথকে করেছে মসৃণ।

Manual6 Ad Code

১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলা ও ভর্তুকির অর্থ সেই হিসাবে পরিশোধ করায় দুর্নীতি ও ভোগান্তি কমেছে। আর সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি রোধ করতে ই-টেন্ডারিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে, যার সুফল কিছু কিছু ক্ষেত্রে মিলছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল। বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে, যা অনেক উন্নয়নশীল দেশের চেয়ে ভালো। তবে ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়াসহ কিছু উন্নয়নশীল দেশ আরো বেশি ভালো করছে।’

বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন চিত্র পর্যালোচনা করে দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণের কাজ প্রায় শেষের দিকে।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীত হয়েছে। চট্টগ্রাম, মংলাবন্দর ব্যবস্থাপনা উন্নয়নসহ পায়রায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ হচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজও এগিয়ে চলছে।’

তিনি বলেন, ‘সব দিক মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন সবচেয়ে দ্রুতগতিতে উন্নয়নের দিকে এগোচ্ছে। ঢাকায় জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলনে ভারতের রিলায়েন্স ও আদানি গ্রুপ ১১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে।

এই গতিতে উন্নয়ন হতে থাকলে বাংলাদেশ কেবল মধ্যম আয়ের দেশেই নয়, উন্নত দেশের তালিকায় জায়গা পাবে ৩ দশকের মধ্যে। রাস্তাঘাট, বন্দর ও বিদ্যুৎ পরিস্থিতির অগ্রগতি হওয়ায় পৃথিবীজুড়ে এক ধরনের বার্তা পৌঁছেছে যে বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগ-ভূমি।’

Manual3 Ad Code

বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ‘বিনিয়োগের অবকাঠামোগত সংকট কেটে গেলে এবং এর সঙ্গে রাজনৈতিক সহিংসতার সংস্কৃতির পরিবর্তন হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে।

এর মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান; জীবনমানের উন্নয়ন হবে সাধারণ মানুষেরও। তখন ভারতকে পেছনে ফেলে চীনের মতো বিস্ময়কর উত্থান হওয়ার সুযোগ আছে বাংলাদেশে।’

আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে দেশে কোনো চার লেনের মহাসড়ক ছিল না। দেশের জিডিপিতে ৫৭ শতাংশ অবদান যার, সেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পাড়ি দিতে সময় লাগত ১২-১৪ ঘণ্টার মতো।

দেরিতে হলেও মহাসড়কটি ৪ লেনে উন্নীত করার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পথে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কও ৪ লেনে উন্নীত হয়েছে। বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও জাপানের আর্থিক সহায়তায় ১৯৯৮ সালে নির্মিত ৪.৮ কিলোমিটার লম্বা যমুনা সেতুর চেয়ে আরো প্রায় দেড় কিলোমিটার লম্বা সেতু সরকার নির্মাণ করছে নিজস্ব অর্থায়নে ২৯ হাজার কোটি টাকা দিয়ে, পদ্মা নদীর ওপরে।

২০১৯ সালের মধ্যেই সেতুটি চালু হওয়ার কথা রয়েছে। পদ্মা সেতুর পাশাপাশি মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, মেট্রো রেল, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণের কাজও শুরু করেছে সরকার।

চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে অবকাঠামো খাতে এশিয়ার বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলোর কাতারে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর এবং ভারতসহ নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ট্রানজিট ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হলে এ অঞ্চলের দেশগুলোর পণ্য বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু হবে বাংলাদেশ।

কেবল বড় প্রকল্প আর অবকাঠামো খাতে উন্নয়নই নয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে ভারতসহ বিভিন্ন দেশকে পেছনে ফেলে এগিয়েছে বাংলাদেশ। শিক্ষার হার বেড়েছে, মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার কমেছে। দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২৪ শতাংশে নেমেছে।

বেড়েছে গড় আয়ু ও জীবনযাত্রার মান। মাথা পিছু আয় ১ হাজার ৩১৬ ডলারে পৌঁছেছে। গত বছরই নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম ঘোষণা করেছে বিশ্বব্যাংক। দেড় দশক ধরে ৬ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ, যা পৃথিবীর খুব কম দেশই পেরেছে।

Manual2 Ad Code

চলতি অর্থবছর জিডিপির প্রবৃদ্ধি পুরনো বৃত্ত ভেঙে ৭ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আশা করছে সরকার। বিশ্বব্যাংক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ‘ব্লুমবার্গ’ বলেছে, চলতি বছর চীনকে পেছনে ফেলে ভারতের পরই শীর্ষ প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশ হবে বাংলাদেশ। আর ‘সিএনএন মানি’ বলেছে, ২০১৬ সালে ভারত ও ইরাকের পর তৃতীয় শীর্ষ প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী হবে বাংলাদেশ।

গত ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ সফরে আসেন বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. কৌশিক বসু। তখন তিনি বলেন, বাংলাদেশের সামনে উড়ন্ত সূচনা অপেক্ষা করছে। পরিকল্পনামাফিক এগোলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ অর্জন অসম্ভব নয়।

কৌশিক বসু বলেন, জিডিপির অনুপাতে বর্তমানে বিনিয়োগ ২৯ শতাংশ। যখন সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, হংকংয়ের বিনিয়োগের পরিমাণ ওই সব দেশের জিডিপির ৩০ শতাংশের মতো ছিল, তখন থেকেই দেশগুলো ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করছিল।

তাই ৩ বছরের মধ্যে একটা টার্গেট করে বাংলাদেশের বিনিয়োগকে জিডিপির ৩৩ বা ৩৪ শতাংশে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব নয়। তখন বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ অর্জন খুবই সম্ভব। আর সেটা হলে বাংলাদেশ বিশ্বের ৪/৫ দেশের মধ্যে পড়ে যাবে, যারা উচ্চ প্রবৃদ্ধির সিঁড়িতে শীর্ষে রয়েছে।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় মানবসম্পদের উন্নয়ন ঘটেনি এ দেশে। জনসংখ্যার বোনাস কাল উপভোগ করে অনেক দেশ উন্নয়নের শীর্ষে পৌঁছালেও এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। কর্মসংস্থানের অভাবে যুবশক্তির বড় অংশই দেশের অর্থনীতিতে তেমন ভূমিকা রাখতে পারছে না।

অন্যদিকে বেকারত্বে ভরা বাংলাদেশে এসে চাকরি করে বিদেশিরা প্রতিবছর বেতন নিচ্ছে ৫০০ কোটি ডলার। তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে মানবসম্পদ উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার।

দেশের সার্বিক উন্নয়ন পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার সুত্রকে বলেন, সরকারের অনেক সাফল্য আছে—অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো, যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হয়েছে, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎও সাফল্যের বড় উদাহরণ।

কিন্তু বর্তমান সরকার রাজনৈতিকভাবে দুর্বল। বর্তমানে আন্দোলন না থাকলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা রয়েছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে অব্যাহত রেখে রাজনৈতিক ময়দানে সুস্থতা ফিরিয়ে আনাই সামনের দিনগুলোতে সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সুত্রকে বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বর্ধনশীল অর্থনীতির মধ্যে বাংলাদেশ এখন অন্যতম। পৃথিবীর নামকরা গবেষণা সংস্থাগুলো বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অগ্রগতি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করছে।

বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা ছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার তা দূর করতে সচেষ্ট হয়েছে। ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম ৪ লেন, পদ্মা সেতুসহ যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে।

বিদ্যুৎ সংকট কেটে গেছে। জ্বালানি সংকট দূর করতেও সরকার কাজ করছে। ফলে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের আর কোনো সংকট থাকবে না। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যেই মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশে এত দিন অবকাঠামো খাতে বড় ধরনের সংকট ছিল। তাই ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ দায়িত্ব নেওয়ার পর সবচেয়ে বেশি মনোযোগী হয় যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অবকাঠামো সংকট দূর করতে।

চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে এ সংকট কেটে যাবে। তখন সরকার সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেবে দেশের জনশক্তিকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে; তাদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে।

Manual4 Ad Code





Calendar

October 2025
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031



  1. © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2017 sylhet71news.com
Design BY Sylhet Hosting
sylhet71newsbd
Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code