এসবিএন ডেস্ক: সেবার মান না বাড়লেও ৩ বছরের মাথায় ইতোমধ্যে ৭.২৩ শতাংশ হারে রেলের ভাড়া বাড়িয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
ফলে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারী থেকে সর্বনিম্ন ২০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে যাত্রীদের। সবশেষ ২০১২ সালে ৫০ শতাংশ হারে ভাড়া বাড়ানো হয়েছিলো।
বাংলাদেশ রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল) মহা-ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মকবুল আহম্মেদ জানান, বিগত ২০১১-১২ অর্থ বছরে রেলের পরিচালন ব্যয় ২৬০ শতাংশ হলেও এডিবি’র প্রস্তাবনা অনুসরণ করে পরের অর্থ বছরে তা ১৯৪ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। তাই লাভ-ক্ষতি সমন্বয় করতে এডিবির প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী এবার বাড়ানো হলো ট্রেনের ভাড়া।
নানা অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা এবং দুর্নীতি নিয়ে রেলওয়ে যাত্রীদের অভিযোগের শেষ নেই। নানা সমস্যার কারণে যাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
তারপরও ২০১২ সালের পহেলা অক্টোবর ৫০ শতাংশ ভাড়া বাড়ায় কর্তৃপক্ষ। ভাড়া বাড়ানোর সময় সেবার মান বাড়ানোর যে অঙ্গীকার করা হয়েছিলো তা পায়নি যাত্রীরা।
২০ ফেব্রুয়ারী থেকে কার্যকর বর্ধিত ভাড়া হিসেবে সুবর্ণ এক্সপ্রেসের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষের যাত্রীদের ৬৭৩ টাকার পরিবর্তে ৭২৫ টাকা, শোভন শ্রেণীর যাত্রীদের ৩৫৩ টাকার পরিবর্তে ৩৮০ টাকা, মহানগর প্রভাতী, গৌধূলী এবং তূর্ণা নিশীতার শোভন শ্রেণীর যাত্রীদের ৩২০ টাকার পরিবর্তে ৩৪৫ টাকা দিতে হবে। একই পদ্ধতি অনুসরণ করে বাড়ানো হয়েছে সবগুলো যাত্রীবাহী ট্রেনের ভাড়া।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন স্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বর্তমান বাজার মূল্যের কথা বিবেচনা করে নতুন করে ভাড়া বৃদ্ধি করা ছাড়া কোন উপায় নেই।’
যাত্রীদের পাশাপাশি পণ্য এবং কন্টেইনার পরিবহনেও ভাড়া বেড়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকা কমলাপুর আইসিডিতে পাঠানো ২০ ফুট সাইজের কন্টেইনারের ভাড়া ১৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ১৬ হাজার ১০০ টাকা, ৪০ ফুট সাইজের কন্টেইনারের ক্ষেত্রে ভাড়া ২১ হাজার টাকার পরিবর্তে ২২ হাজার ৬০০ টাকা দিতে হবে।