সিলেট৭১নিউজ:সিলেট সিটি কর্পোরেশন ৮ নং ওয়ার্ড নোয়াপাড়া মোল্লাবাড়ির আবু হানিফের পুত্র রুহিন ৭ মাস প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন নারায়নগঞ্জের মেয়ে রেহেনা কে৷
বিয়ের পর থেকে তারা নারায়নগঞ্জের নতুন কোর্ট এলাকায় বাসা ভাড়া করে সংসার করছিলেন। রুহিন তার ব্যবসার কথা বলে প্রায়ই সিলেট আসা যাওয়া করতো এবং নব বিবাহিতা স্ত্রী রেহেনা ও তার পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে কয়েক বার। বিয়ের বিষয়টি রুহিনের পরিবার প্রথম প্রথম মেনে নিলেও পরবর্তীতে অস্বীকার করে।
গত মাসে হঠাৎ সিলেট আসার পর যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় রুহিন ও তার পরিবার। কিছুদিন পর আবার নারায়ণগঞ্জ যায় এবং রেহেনাকে বলে যে তাকে নিতে এসেছে। তারপর ওই রাতে রেহেনার ফোন, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরি করে সিলেটে পালিয়ে আসে। ওই দিনই রুহিনের ব্যাপারে সন্দেহ হলে সিলেট আসেন রুহিনের স্ত্রী রেহেনা। এবং ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে বিচার প্রার্থী হোন ।
কাউন্সিলর রুহিনের চাচা আব্দুল খালিকের কাছে মেয়েটিকে সমঝিয়ে দিয়ে সুবিচারের জন্য রুহিনের বাড়িতে পাঠান। রুহিন বিয়ের জাল কাগজ করে বিয়ে করে প্রতারণা করেছে তখনই বুঝতে পারেন রেহেনা। তাই বিচারের জন্য কিন্তু রুহিনের পরিবারে লোকজন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মেয়েটিকে তাড়িয়ে দেয়। বাড়ির লোকজনের চাপাচাপিতে চুরি করে নিয়ে আসা মোবাইল ফেরত দেয় রুহিন কিন্তু তার আগে ফোনে থাকা ভিডিও ছবিসব ডকুমেন্টস ডিলিট করে দেয়।
পরবর্তীতে আবারো কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমানের কাছে বিচারের জন্য গেলে তিনি সুবিচার করতে পারেন নি। বুক ভরা কষ্ট নিয়ে তারপর রেহেনা ঢাকায় ফিরে যান। আবার রুহিনের সাথে যোগাযোগ করেন, রুহিন ঘরে তোলার আশ্বাস দেয় ৷ কিন্তু দুই দিন আগে রুহিনের বিদেশ পালিয়ে যাবার খবর শুনে সিলেট আসেন রেহেনা।
আজ (১১ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার আবারো রুহিনদের বাড়িতে যান রেহেনা। আদম শাহ জামে মসজিদের সামনে সিটি মেয়র আরিফুল হক ও কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান কর্পোরেশন এর কাজে সেখানে ছিলেন। রেহেনা মেয়রের কাছে বিচার দিলে কাউন্সিলর, মেয়রসহ এলাকার লোকজন রুহিনের বাড়িতে যান। রুহিনের ঘরে সালিশে বসেন। উপস্থিত টের পেয়ে রুহিন পালিয়ে গেলে মেয়র আজ সন্ধ্যা ৭ টায় ৮ং ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে রুহিনও তার পরিবারকে নিয়ে সালিশ মীমাংসার দায়িত্ব দিয়েছেন৷
ভুক্তভোগী রেহেনা বলেন, স্ত্রীর অধিকার দিয়ে রুহিন তাকে ঘরে তুলে না নিলে কাউন্সিলর অফিসেই আত্মহত্যা করবেন।
তিনি সুবিচার চান।