খেলা ডেস্ক:: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের একাদশে আসতে পারে পরিবর্তন। অনুশীলনের সময় ইনজুরিতে পড়ায় ম্যাচে থাকা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের।

২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর ক্রিকেটের শর্টার ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় বাংলাদেশের। এরপর কেটে গেছে ১৫ বছর। ১৫ বছরে বাংলাদেশ খেলেছে ১১৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এতোগুলো ম্যাচ খেললেও টাইগাররা এখন পর্যন্ত ক্রিকেটের শর্টার ফরম্যাটে মুখোমুখি হয়নি ইংল্যান্ডের।

বুধবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ম্যাচে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দুই দল। বাংলাদেশ সময় বিকেল চারটায় আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি।

চলতি বিশ্বকাপে এশিয়ার বাকি দেশগুলো তাদের প্রথম খেলায় জয়ের দেখা পেলেও বাংলাদেশ ও ভারত দেখা পায়নি জয়ের। সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচ হার দিয়ে শুরু করলেও ইংলিশদের বিপক্ষে জয় বাগিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ।

শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের বিষয়ে আশাবাদী টাইগার পেইস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। ইংলিশদের বিপক্ষে আলাদা পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামতে যাচ্ছে দল এমনটা জানান তিনি।

গিবসন বলেন, ‘অবশ্যই যে কোনো দলকে আমরা হারাতে পারি, এই বিশ্বাস নিয়ে এখানে এসেছি। আমরা বাছাইয়ে কঠিন গ্রুপ পেরিয়ে এসেছি। সেখানে স্নায়ু চাপও ছিল। এখন আমরা মূল পর্বে এসেছি। এখানে স্রেফ সংখ্যা বাড়াতে আসিনি। আমরা বিশ্বাস করি, নিজেদের দিনে আমরা যে কোনো দলকে হারাতে পারি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ খুবই শক্তিশালী। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা তাদের স্বভাব। সে জন্য মারতে গিয়ে তাদের উইকেট নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। তাই ঘাবড়ে গেলে চলবে না। মাথা ঠাণ্ডা রেখে সঠিক পরিকল্পনা ও দক্ষতার সঙ্গে বোলিং করতে হবে।’

২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বোলিং কোচের ভূমিকায় ছিলেন ওটিস গিবসন। এরপর দ্বিতীয় দফায় একই দায়িত্ব পালন করেন ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত। লম্বা সময় ইংলিশদের সঙ্গে থাকায় তাদের টিম কম্বিনেশন মুখস্ত এই ক্যারিবিয়ান পেইসারের।

যে কারণে গিবসন মনে করেন ইংল্যান্ডকে নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলে নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা সম্ভব হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বোলিং কোচ বলেন, ‘দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। এটা মেনে নিতে হবে যে ভালো বল করলেও মার খাওয়া লাগতে পারে। এটা তাদের মানসিকতা। তারা উইকেট ফেলারও সুযোগ দেবে। আমাদের শান্ত থাকতে হবে ও পরিকল্পনামাফিক খেলতে হবে।’

সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ম্যাচটিকে কতোটা গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে বাংলাদেশ সেটি স্পষ্ট জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অনুশীলনে। ম্যাচের আগের দিন মঙ্গলবার দুপুরে লম্বা সময় দুবাইয়ে অনুশীলন করেছেন মাহমুদুল্লাহ বাহিনী।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ একাদশে আসতে পারে পরিবর্তন। অনুশীলনের সময় ইনজুরিতে পড়ায় ম্যাচে থাকা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের।

যদি তিনি খেলতে না পারেন, তাহলে তার পরিবর্তে একাদশে ঢুকতে পারেন সৌম্য সরকার। আর সোহান খেললেও উইকেটের পেছনে থাকবেন লিটন।

অপরদিকে উইন্ডিজকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা ইংল্যান্ড অপরিবর্তিত স্কোয়াড নিয়ে নামতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সম্ভাব্য একাদশ: নাঈম শেখ, লিটন দাস (উইকেটকিপার), সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান/ সৌম্য সরকার, মাহেদী হাসান, সাইফউদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।

ইংল্যান্ড সম্ভাব্য একাদশ: জেসন রয়, জস বাটলার (উইকেটকিপার), মইন আলি, ওইন মরগান, লিয়াম লিভিংস্টোন, ডাউয়িড মালান, জনি বেয়ারেস্টো, ক্রিস ওকস, ক্রিস জর্ডান, আদিল রাশিদ ও টাইমল মিলস।

এবিএ/০৫