খেলা ডেস্ক:: প্রথম দুই ম্যাচেই হেরে কোণঠাসা হয়ে পড়া লাইপজিগ ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে শুরুটা করে দারুণ। প্রথম সাত মিনিটে দুবার প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভেঙে ডি-বক্সে ঢুকে পড়ে তারা।
তবে এর দুই মিনিট পর দলকে এগিয়ে নিয়ে যায় পিএসজি। নিজেদের ডি-বক্সে প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকিয়ে মার্কিনিয়োস মাঝমাঠের উদ্দেশে বল বাড়ান। জুলিয়ান ড্রাক্সলার পাস দেন এমবাপ্পেকে। বল ধরে এগিয়ে লাইপজিগ বক্সের মুখে গিয়ে এক ঝটকায় সামনের প্রতিপক্ষকে এলোমেলো করে দিয়ে নিচু শটে গোলটি করেন ফরাসি তারকা।
পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা দ্রুত সামলে নিয়ে পাল্টা আক্রমণে মনোযোগ দেয় লাইপজিগ। দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে ২৮তম মিনিটে সমতায় ফেরে তারা। বিরতির আগে এগিয়েও যেতে পারতো তারা। তবে পিএসজির দুই ডিফেন্ডার নুনো মেন্দেস ও প্রেসনেল কিম্পেম্বের বাধা এড়িয়ে ক্রিস্টোফার এনকুঙ্কুর বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া নিচু শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
প্রথমার্ধে পিএসজি প্রায় ৭০ শতাংশ সময় বল দখলে রাখলেও আক্রমণে একটু এগিয়ে ছিল লাইপজিগ। বিরতির পরও আক্রমণাত্মক শুরু করে তারা। প্রথম ছয় মিনিটে তিনবার ভীতি ছড়ানো দলটিকে ৫৭তম মিনিটে এগিয়ে দেন নর্দি মুকিয়েলে।
লাইপজিগ নিজেদের সীমানায় পজেশন হারালে বল ধরে দ্রুত ডি-বক্সে ঢুকে কাটব্যাক করেন এমবাপ্পে। প্রথম ছোঁয়ায় মেসির নেওয়া শটে বল গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে পোস্টে লেগে ফিরে আসছিল। ছুটে গিয়ে টোকায় বাকি কাজ সারেন মেসি।
সফল স্পট কিকে ৭৪তম দলকে আবারও এগিয়ে নেন মেসি। ম্যাচ জুড়ে দুর্দান্ত খেলা এমবাপে ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় তারা। তবে শেষ বাঁশি বাজার আগে পাওয়া পেনাল্টিতে গোল করতে ব্যর্থ হন এমবাপ্পে।
‘এ’ গ্রুপের অন্য ম্যাচে ব্রুজকে ৫-১ গোলে হারিয়েছে পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি।
এবিএ/০৭