সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: গাজীপুর- গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় সাতানিপাড়া এলাকায় বুধবার রাতে প্রেমিকের বাড়ি থেকে প্রেমিক-প্রেমিকার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের পাশ থেকে রক্তমাখা একটি ছুরিও উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (৬ অক্টোবর) দিনের কোনো একসময় কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের সাতানীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন সাতানীপাড়া গ্রামের মৃত সমর গমেজের ছেলে হৃদয় গমেজ (২৫) এবং একই উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের বান্দাখোলা গ্রামের স্বপন রোজারিওর মেয়ে ইভানা রোজারিও (২২)।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান জানান, হৃদয় ও ইভানার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বুধবার (৬ অক্টোবর) সকালে হৃদয় গমেজকে বাড়িতে রেখে তার মা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে যান জমি রেজিস্ট্রি করতে। সেখানে কাজ সেরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি বাড়ি ফেরেন। বাড়িতে এসে তিনি ঘরের বাইরে গ্রিলে তালা ও দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। দরজা খুলতে ডাকাডাকি করলেও কোনো শব্দ না পেয়ে তিনি জানালা দিয়ে দেখেন ঘরের মেঝেতে ইভানা ও হৃদয়ের মরদেহ পড়ে আছে।
তখন তিনি চিৎকার করতে থাকেন। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘরের বারান্দার দেয়াল ভেঙে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপতালে পাঠানো হয়।
ওসি আরও জানান, ইভার ঘাড়ে এবং হৃদয়ের পেটে ছুরিকাঘাতের ক্ষত রয়েছে। ইভানার মরদেহের ওপরে হৃদয়ের লাশটি পড়ে ছিল। এ সময় হৃদয়ের হাতের পাশে রক্তাক্ত ছুরি ছিল।
পুলিশ জানায়, ধারণা করা হচ্ছে কোন বিরোধের কারণে বাড়ির লোকজনের অনুপস্থিতির সুযোগে প্রেমিকা ইভানাকে ঘরে ডেকে এনে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে হদয়। পরে নিজের পেটে ছুরিকাঘাত করে হৃদয় আত্মহত্যা করে। বাইরের লোকজন যাতে কোনো শব্দ শুনতে না পায় সেজন্য ঘরের দরজা জানালা আটকিয়ে জোরে গান ছাড়া ছিল।
নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা, তদন্তের পর বলা যাবে বলে জানিয়েছেন ওসি মো. আনিসুর রহমান।