বুয়েন্দিয়া ম্যাচের স্কোয়াডেই ছিলেন না, বাকি তিন খেলোয়াড় ছিলেন আর্জেন্টিনা দলে, তাঁদেরই ধরতে চেয়েছিল আনভিসা।
এ ঘটনায় স্থগিত হয় ম্যাচ। ইংল্যান্ডের ক্লাবে খেলা ওই চার আর্জেন্টাইনকে ব্রাজিলের নিয়ম অনুযায়ী কোয়ারেন্টিন করতে হতো। কিন্তু সেটি না করে ওই চার খেলোয়াড় কোয়ারেন্টিন ছাড়া মাঠে নামায় তাঁদের আটক করতে এসেছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। যদিও তার আগেও দুই দিন ব্রাজিলে ছিল আর্জেন্টিনা দল। আনভিসার কর্মকর্তাদের ঘুম ভেঙেছে ম্যাচ শুরুর পর!
ব্রাজিলে সবচেয়ে পরিচিত সংবাদমাধ্যম ‘ল্যান্স’ প্রথম পাতায় লিখেছে ‘বৈশ্বিক লজ্জা: কনমেবল ম্যাচ স্থগিত করেছে, চার আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় স্বাস্থ্যনীতি লঙ্ঘন করেছেন।’
আরও বলা হয়, এজেন্সির কর্মকর্তারা ‘এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, জিওভান্নি লো সেলসো ও এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়াকে আটক করতে চেয়েছিলেন।’
ব্রাজিলের আরেক সংবাদমাধ্যম গ্লোবোর শিরোনামেও ‘বৈশ্বিক লজ্জা’, তবে সংবাদমাধ্যমটি প্রশ্ন করেছে, ‘কোয়ারেন্টিন না করায় এসব খেলোয়াড়কে যদি ব্রাজিলে থাকার অনুমোদন না-ই থাকে, তাহলে তারা কীভাবে হোটেলে থাকলেন, ঘোরাফেরা করলেন এবং অনুশীলনে গেলেন?’
সাও পাওলোর প্রধান সংবাদমাধ্যম ‘ফোলহা’ লিখেছে, ‘আনভিসা মাঠে ঢুকে আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়দের আটক করতে চেয়েছিল।’
আরও বলা হয়, প্রিমিয়ার লিগের চার খেলোয়াড় ইংল্যান্ড থেকে ব্রাজিলে আসায় কোয়ারেন্টিন এড়াতে ‘ভুয়া’ হলফনামা জমা দেন। ব্রাজিলের জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল ‘ইউওএল’-এ কলামিস্ট ডিয়েগো গার্সিয়া এককাঠি এগিয়ে লিখেছেন, ‘এই মহামারিতে ফুটবল নিয়ে সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছে আর্জেন্টাইন মিথ্যুকরা।’
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর ছেলে ফ্লাভিও বলসোনারোও দুষেছেন আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড়কে। কাল তাঁর টুইট, ‘আর্জেন্টাইনরা চাতুরি করেছে। জেনেশুনেই ব্রাজিলের আইন ভেঙেছে, আনভিসাকে কিছু টের পেতে দেয়নি। ইংল্যান্ড থেকে তারা চার খেলোয়াড়কে এনেছে। ম্যাচের আগে পুলিশকে তাই তদন্ত করতে হয়েছে, কারা নিয়ম মানেনি। আর্জেন্টিনার চরম শাস্তি হওয়া উচিত।’
গতকালই স্থানীয় সময় মধ্যরাতে দেশে ফিরে গেছে আর্জেন্টিনা দল।