সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: রবিউল শেখ (৩১) গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার কৃষ্ণপুর এলাকার মোশারফ শেখের ছেলে। প্রথমে ঢাকায় এসে শুরু করেন সবজির ব্যবসা। ব্যবসায় পুঁজি হারিয়ে চালাতেন রিকশা।
এরই মধ্যে কয়েক ডাকাতের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। স্বপ্ন দেখেন অল্প দিনে অনেক টাকার মালিক হবেন। এরপর যোগ দেন ডাকাত দলে এবং পরিকল্পনা আঁটেন গাজীপুরের গাছা থানাধীন তারগাছ এলাকার অবস্থিত নভোটেক্স কারখানায় ডাকাতি করার।
পরে ১৩-১৪ জনের একটি ডাকাত দল ডিবি পুলিশ পরিচয়ে নভোটেক্স (প্রা.) লি. কারখানায় প্রবেশ করে সিকিউরিটি গার্ডদের জিম্মি করে আটকে ফেলেন একটি রুমে। এ সময় সিকিউরিটি গার্ড বাবু মিয়া ডাক-চিৎকার দিলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।
পরে তারা (ডাকাত সদস্যরা) কারখানার অফিস কক্ষের ড্রয়ার ভেঙে নগদ ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা, ১০টি পিসির হার্ডডিক্স, ২৬টি সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক ও দুইটি মোবাইল ফোনসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটে ২০২০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায়।
এ ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ ২৩ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর মেট্রো গাছা থানায় ওই কারখানার এজিএম আব্দুল কাইয়ূম, সিকিউরিটি গার্ডসহ দুইজন ফ্লোর অপারেটরকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি থানা পুলিশ তদন্ত করে ৭ জনকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দেয়।
কিন্তু আদালত মামলাটি পুন:তদন্তের জন্য পিবিআই গাজীপুরকে নির্দেশ দেন। পরে পিবিআই পুন:তদন্ত করে গত ১৪ জুন সোমবার রাতে রবিউল শেখকে গোপালগঞ্জের হরিদাসপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই গাজীপুরের উপ-পুলিশ পরিদর্শক আরিফুল ইসলাম গ্রেফতারকৃতের স্বীকারোক্তিতে এভাবেই ঘটনার বিবরণ দেন।
পিবিআই গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, ডাকাতরা মূলত ফ্যাক্টরির সুইং মেশিন ডাকাতির জন্য এসেছিল। কিন্তু তাদের ট্রাক ভাড়া না হওয়ায় সুইং মেশিন নিতে পারেনি। রবিউল মঙ্গলবার বিকালে আদালতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। সে আগে সবজির ব্যবসা করত।
সিলেট৭১নিউজ/টিআর/যুগান্তর