গত ১৯ মে সিলেট নগরীর সাগরদিঘীরপাড় সুরমা আবাসিক এলাকার ২৩নং সৈয়দপুর হাউসে ঢাকার স্বঘোষিত কথিত বাউল শিল্পী সাবানা আজমির ঢাকা দামড়াই এলাকার এক নারীলিপন্সুক বখাটে বাবুল কর্তৃক ধর্ষিতা হওয়ায় এবং এই বিষয়ে বিভিন্ন অনলাইন পএিকায় বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় ও হয়রত শাহ জালাল মাজারের পবিত্রতা নষ্ট করায় ও সিলেট বিভাগের বাউল গান নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার প্রতিবাদে এবং এই ধর্ষন মামলার প্রসাশন কর্তৃক মূল বিষয় উদাঘটনের লক্ষে সিলেট বিভাগের সকল সংগীত অনুরাগীদের কে নিয়ে ২৪ মে সোমবার বিকালে বাউল কল্যাণ সমিতি,সিলেট বিভাগের উদ্যোগে তালতলাস্ত সমিতির অস্থায়ী কার্যালয়ে মতবিনিময় ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাউল কল্যাণ সমিতি,সিলেট বিভাগের সভাপতি মোঃ কামাল উদ্দিন রাসেল এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বাউল সূর্য লাল দাসের পরিচালনায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন তেতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ফারুক মিয়া।
বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন জগন্নাথপুর উপজেলা আন্তর্জাতিক গীতিকবি সাংস্কৃতিক পরিষদের ইউকের সহ সভাপতি নূরুল ইসলাম, বিশিষ্ট সংগীত অনুরাগী মুক্তার আহমদ বকুল, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা জাতীয় পাটির আহবায়ক তাজ উদ্দিন এপলু, বাংলাদেশ বাউল সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটি সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরুজ আহমদ, দূর্নীতি প্রতিরোধ মঞ্চ সিলেটের সভাপতি আফতাব উদ্দিন, সিলেট জেলা ছাএদলের সাবেক সহসাংগঠনিক আতাউর রহমান, শাহ বুরহান উদ্দিন বান্ডারী, বাউল কল্যাণ সমিতি,সিলেট বিভাগের সহসভাপতি এম মুজিবুর রহমান, সিলেট বিভাগীয় গীতিকবি সংসদ এর সহ সাধারণ কামরুল ইসলাম চৌধুরী।
উপস্থিত ছিলেন বাউল কল্যাণ সমিতি,সিলেট বিভাগের সিনিয়র সহসভাপতি বিরহী বাউল লাল মিয়া, গীতিকার কুমদা কর, সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জিএস বসর,প্রচার সম্পাদক গীতিকবি এম তছির আলী, সহ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল হাসিম,সমাজ কল্যাণ ও পরিবেশ বিষয়ক সাবুল আহমদ,হিউম্যান এইড আর সিলেটের প্রতিষ্ঠাতা কাজী জসিম উদ্দিন,ড্রীম সোসাইটি সভাপতি এম ডি শামীম খান, সুহিন আহমদ, ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন, সমাজকর্মী জয়নাল আবোদ্বীন প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বক্তরা বলেন, ঢাকা থেকে কথিত বাউল শিল্পী নাম দারী সিলেট এসে গান গাওয়া নাম করে ধর্ষিত হয়েছে বলে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়া বিভ্রান্তিমুলক সংবাদ প্রচার হওয়ায় মামলার এজহারে দক্ষিণ সুরমার একটি গ্রামে মুল আসামী স্থানীয় ঠিকানা ব্যবহার করায় তেতলী ইউনিয়নবাসীসহ দেশ-বিদেশে সংঙ্গীত অনুরাগীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বক্তারা আরও বলেন, এই ধর্ষিতা ও ধর্ষণকারী উভয়ই সিলেটের বাসিন্দা নয়। তারা ঢাকার স্থানীয় বাসিন্দা। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এই ধর্ষনের বিষয় উল্লেখ করে ঢাকা থেকে বাউল শিল্পীকে সিলেটে এনে ধর্ষন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং বাউল কল্যাণ সমিতি সিলেট বিভাগের সভাপতি কামাল উদ্দিন রাসেলকে মোবাইলে হুমকি দেয়ার তীব্র নিন্দা জানান।
প্রকৃত ঘটনা হল, কথিত এই বাউল শিল্পী দেওয়ান সাবানা আজমির গত ৭ মার্চ সিলেট এসে তার কথিত ধর্মীয় পিতা হযরত শাহ জালাল র: মাজারের কবর খননকারী ইদন মিয়ার বাড়ীতে উঠেন। ৭ মার্চ শাহ জালাল র: মাজারের সাবেক মোতাওয়াল্লী আমান উল্লাহ শাহর সদর উপজেলার মোগলগাওঁ ইউনিয়নের মোল্লারগাঁও গ্রামের তার বাৎসরিক ওরুসে গান গাওয়ার জন্য আসেন। এই কথিত শিল্পি ধর্ষনকারী বাবুলসহ তার সহযোগিদের পূর্ব পরিচিত। সে গানের ভায়না নিয়ে বাউল গানের জন্য আসেনি। সেই অনেক আগ থেকে রহস্যজনক কারনে সিলেটে অবস্থান করছে।
বক্তরা প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করে বলেন, যারা সিলেটের পবিত্র মাটিকে অপবিত্র ও বাউল গানের অপপ্রচার করেছে। প্রকৃত ঘটনাটি উম্মেচন করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবী জানান। বক্তরা বলেন, কথিত শিল্পী সাবানা আজমিরের মোবাইল ফোন জব্ধ করে তদন্ত করলে আসামীদের সাথে তার কি সম্পর্ক তা জানা যাবে।