সিলেট: করোনাভাইরাসকে পুঁজি করে সিলেটে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা। করোনা দুর্যোগের এ মহামারিতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের এসব ভাড়া নৈরাজ্যের কারণে যাত্রীরা এখন অতিষ্ঠ। তাদের দাবিকৃত ভাড়া না দিলে পুরুষ এমনকি মহিলা যাত্রীদেরও লাঞ্ছিত করতে পিছপা হয়না এসব চালকরা। এসব আচরনে মনে হয় দেখার যেন কেউ নেই। তাদের হাতে এখন জিম্মি হয়ে পড়েছে যাত্রী সাধারণ। দিন-দিন চালকরা তাদের ইচ্ছেমতো ভাড়া বৃদ্ধি করছে। কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নৈরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে এরা। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নজরদারী না থাকার কারনেই চালকরা ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
স্বাস্থ্যবিধি পালন ও প্রতি গাড়িতে তিন জন যাত্রী পরিবহনের অজুহাতে এসব ভাড়া আদায় করা হলেও স্বাস্থ্যবিধির কোনো তোয়াক্কা না করে পাঁচজন যাত্রীর কম কেউ পরিবহন করে না। ক্ষেত্রবিশেষে আরও বেশি যাত্রী পরিবহন করেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
মহামারি করোনা ভাইরাস এবং লকডাউনের কারণে যখন পুরো দেশের মানুষ দিশেহারা। সরকার যখন মানুষের জীবনকে সাভাবিক রাখতে সীমিত আকারে যানবাহন ও শপিংমল খুলে দিয়েচে। সেই সুযোগ নিয়ে সিলেটে সাধারণ যাত্রীদের জনগণের পকেট কাটছেন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা। অটোরিকশা চালকরা সিলেট নগরীতে হরহামেশাই নিচ্ছেন অতিরিক্ত ভাড়া। যাত্রীরাও নিরোপায় হয়ে মান বাঁচাতে তাদের সাথে তর্কে না গিয়ে নিরবেই দিয়ে যাচ্ছেন অতিরিক্ত ভাড়া। কোথাও কোথাও আবার ভাড়া নিয়ে চলছে বাকযুদ্ধ। তবে এ যুদ্ধে জিতে যাচ্ছেন চালকরাই।
আলম নামের একজন যাত্রী বলেন, আমি সিলেটের কদমতলি থেকে জকিগঞ্জের ঈদগাহ বাজারে যাবো, তখন একটা সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠার আগেই চালক আমার কাছে ২৮০ টাকা ভাড়া দাবী করে বসেন।চালকের কাছে ১০০ থেকে ১২০ টাকার ভাড়া ২৮০ টাকা চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে উল্টো আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। এরকম প্রতিনিয়ত সিলেটে অটোরিকশা চালকদের কাছে অসহায় সাধারণ যাত্রীরা।
আবু বক্কর নামের একজন যাত্রী বলেন- আমি একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠার পর দেখি যেখানে ৩ জন যাত্রী উঠানোর কথা সেখানে ৫জন নিচ্ছেন আবার অতিরিক্ত ভাড়াও দাবী করছেন। এভাবে তাদের অত্যাচারে সাধারণ যাত্রী একরকম জিম্মি অবস্থায় রয়েছেন।
এসএমপির মুখপাত্র ও এডিসি বি.এম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, দীর্ঘদিন লকডাউন অব্যাহত থাকায় মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কেউ বেশী ভাড়া আদায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।