সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক: শুধু সাইনবোর্ড আর নামেই আবাসিক হোটেল। কিন্তু এই আবাসিকেই চলে মধুচক্রের আসর। যৌন ব্যবসা বা যৌন কর্মে লিপ্ত হওয়া এটা নতুন কিছু নয়। প্রশাসনের নাকের ডগায় চলে ব্যবসা। সিলেট শহরসহ ভিন্নসব কৌশল অবলম্বনে দীর্ঘদিন থেকে চলছে যৌন ব্যবসা।
প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত আবাসিক হোটেল গুলোতে রেষ্টের রুম ভাড়া নিয়ে আনন্দ ফুর্তিতে মেতে ওঠে যুবক-যুবতীরা। সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে ভাসমান পতিতা ও আবাসিক হোটেলগুলোতে দেহ ব্যবসার।
তাই এবার পুলিশের পৃথক তিনটি অভিযানে মধুচক্রের আসর থেকে গ্রেফতার হয়েছেন ২৪ জন যুবক-যুবতী।
জানা যায়, গত রোববার(২১মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কোতোয়ালী মডেল থানা এলাকার মহাজনপট্টিস্থ সোনালী আবাসিক হোটেল থেকে ৩ যুবক ও ৩ যুবতীকে গ্রেফতার করেছে বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ। বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ এসআই মো.মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮মার্চ) সিলেট নগরীর সুরমা মার্কেটস্থ নিউ সুরমা আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে মধুচক্রের আসর থেকে ২ যুবতী ও ৬ যুবককে গ্রেফতার করে বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ। বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ এসআই মো.মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে এসএমপি এ্যাক্টের ৭৭ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়েছে।
সর্বশেষ মঙ্গলবার(২৩মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্বরস্থ তিতাস হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকায় ৩ জন নারী ও ৭ পুরুষসহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। দক্ষিণ সুরমা থানার এসআই মো.রোকনুজ্জামান চৌধুরী পিপিএম এর নেতৃত্বে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে দক্ষিণ থানার ওসি মো.মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃতদের আজ আদালতে প্রেরণ করা হবে ।
এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের মুখপাত্র বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন- নগরীর সবগুলো হোটেল মালিকদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে, যাতে কেউ এ ধরণের কাজে জড়িত না থাকেন।
তিনি বলেন, আমরা নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রেখেছি, অভিযানে শুধু এসব কাজে যারা তাদের নয় হোটেল মালিকদেরও আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
সিলেট৭১নিউজ/টিজা