সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:হঠাৎ করে যেন অশান্তির দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে সিলেটে। একের পর এক ঝড়ছে মানুষের রক্ত, ঘটছে খুনের ঘটনা। সিলেটে এক রাতে পৃথক স্থানে দুই যুবক খুন হয়েছে। শনিবার ও রোববার দিবাগত রাতে সিলেটের বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জে ঘটেছে দুটি খুনের ঘটনা। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

হঠাৎ করে সিলেটে খুনোখুনি বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন মানুষ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা, বিচারের দীর্ঘ সূত্রিতা, সামাজিক অবক্ষয় প্রভৃতি কারণেই বাড়ছে অপরাধ।

জানা যায়, সিলেটের বিশ্বনাথে শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১০টার দিকে ছুরিকাঘাতে ইমরান আহমদ সায়মন (২২) নামের তরুণ ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন। নিহত ইমরান পৌর এলাকার দক্ষিণ মসুলা (জানাইয়া) গ্রামের মছলন্দর আলীর ছেলে। তিনি জানাইয়া ফুটবল মাঠস্থ নাদিয়া এন্ড তায়েফ ভেরাইটিজ স্টোরের পরিচালক।

শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১০টার দিকে পৌর শহরের জানাইয়া রোডের শুকুর আলীর বাসার সামনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর প্রথমে রক্তাক্ত ও অজ্ঞান অবস্থায় ইমরান আহমদ সায়মনকে পৌর শহরের নতুন বাজারের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ও পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান অভিভাবকরা। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

এদিকে গতকাল লাশের ময়না তদন্ত শেষে বাদ আসর জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়। এই ঘটনার সাথে জড়িত দুজনের নাম পরিচয় পাওয়া গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পরদিন রোববার গোলাপগঞ্জ উপজেলার সন্ত্রাসীদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে এহতেশামুল হক শাহিন (৪২) নামের এক ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন।

রোববার দিবাগত (২২ মার্চ) রাত ১টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের লরিপুর গ্রামের সড়কে সন্ত্রাসীরা তাকে খুন করে পালিয়ে যায়।

শাহিন লরিপুর গ্রামের মরহুম আব্দুল হকের ছেলে এবং হেমিগঞ্জ বাজারের ‌’হাসিবা ট্রেডার্স’ নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী।

নিহত শাহীন রোববার রাতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি স্থানীয় একজন সিএনজি চালককে ফোনে জানান তিনি ঢাকা থেকে ফিরছেন, তাকে যেন সিলেট থেকে নিয়ে আসে। সিলেট নেমে তিনি সিএনজি যোগে বাড়ি পথে যাত্রা করেন।
গ্রামের রাস্তায় কলাগাছ ফেলে সন্ত্রাসীরা গাড়ির গতিরোধ করে শাহিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে দ্রুত ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ সাথে সাথে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই জনকে থানার নেয়া হয়েছে। লাশ এখনো মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।

সিলেট৭১ নিউজ/টিজা