সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ উদযাপন করেছে ভারতের আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন। রোববার (০৭ মার্চ) বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
এদিন সকালে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর জাতির পিতাসহ মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। সেইসঙ্গে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাইকমিশনের প্রথম সচিব মো. জাকির হোসেন ভূঁঞা, বিশিষ্ট গবেষক ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ড. দেবব্রত দেবরায়, মুক্তিযুদ্ধের সন্মাননা প্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব শ্রী স্বপন কুমার ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব আগরতলাস্থ রামঠাকুর কলেজের অধ্যাপক মো. মুজাহিদ রহমান, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ড.আশিষ কুমার বৈদ্য, বিশিষ্ট সাংবাদিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শ্রী অমিত ভৌমিক, হাইকমিশনের প্রথম সচিব (স্থানীয়) এস এম আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
এছাড়াও ৩৯তম বইমেলায় অংশগ্রহণ করতে ত্রিপুরায় আগত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও প্রকাশনা) মোহাম্মদ আলী সরকার বক্তব্য পেশ করেন।
সহকারী হাইকমিশনার মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন তার সমাপনী বক্তব্যে গভীর শ্রদ্ধার সহিত স্মরণ করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থাপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
এ সময় শিশুদের অংশগ্রহণে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ভাষণ শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সিভিল সোসাইটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং আগরতলা মিশনের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন।
সিলেট৭১নিউজ/সময়/আবিদ