গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি-সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং নদী, পিয়াইন নদী ও বিছনাকান্দি নদীর বালু লিজ ও ইন্জিন টেক্স টেন্ডারবিহীন লিজ দিয়ে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাকি দেয়ার অভিযোগ উটেছে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার রগনের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা প্রশাসক, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গোয়াইনঘাট উপজেলাবাসীর পক্ষে মাও জিয়াউল ইসলাম।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিগত ২০১১সাল থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং নদী, পিয়াইন নদী ও বিছনাকান্দি নদীর বালুর লিজ ও ইন্জিন টেক্স টেন্ডারবিহীন গোয়াইনঘাটের একই ব্যক্তিকে অবৈধভাবে টাকার বিনিময়ে প্রতিবছর লিজ দেয়া হয়। এবং প্রতিবছর বালুর নৌকা হতে ইন্জিন টেক্সের নামে কোটি কোটি টাকা চাদাঁ আদায় করে গোয়াইনঘাটে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ স্হানীয় কিছু প্রভাশালী লোক সেই টাকাগুলো ভাগবাটুরা করে নিয়েছেন। বিগত প্রায় ৯বছর দরে এভাবেই চলছে গোয়াইনঘাটের বালু মহালের অবৈধ লিজ।
এ নিয়ে গতবছর ইন্ডেপেন্ডেন্ট নিউজ (নৌ পথে চাদাঁবাজী) শীরনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এবং সেখানে চাদাঁবাজী সহ নানারকম অর্পকর্মের চিত্র বেরিয়ে আসে। বিগতদিনের ন্যায় এবছরও সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং নদী, পিয়াইন নদী ও বিছনাকান্দি নদীর বালুর লিজ ও ইন্জিন টেক্স একই ব্যক্তিকে টেন্ডারবিহীন লিজ দিয়ে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাকি দেয়ার পায়তারা করছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান, এভাবে অবৈধ লিজ দিলে সরকার হারাবে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব। তাই সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্বের বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন না করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে টেন্ডার পক্রিয়ার মাধ্যমে গোয়াইনঘাটের বালু মহাল লিজ দেয়ার অনুরোধ করছেন গোয়াইনঘাটের মানুষ।
জানতে চাইলে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ বলেন,,,এই অভিযোগ বৃত্তিহীন, এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান বলেন, গোয়াইনঘাটে একটি মাত্র বালু মহাল রয়েছে সেটা গোয়াইনঘাটে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার কখনও লিজ দেয়ার ক্ষমতা নাই,এবং দিতে পারেনা। সেটা জেলা প্রশাসক টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লিজ প্রদান করেন। তিনি আরো বলেন গোয়াইনঘাটে আমি নতুন এসেছি, অতিথের অভিযোগুলা সত্য কিনা আমি জানিনা। তবে আমার কাছ থেকে এরকম কোন অনিয়ম হবেনা।