এসবিএন ডেস্ক:
ফোর্সেস গোল-২০৩০ অনুযায়ী দেশের বিমানবাহিনীকে অত্যাধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ মঙ্গলবার যশোরের বিমানবাহিনী একাডেমির রাষ্ট্রপতির কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফোর্সেস গোল-২০৩০ অনুযায়ী গত ৭ বছরে আমরা সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর উন্নয়ন করে যাচ্ছি।
এরই অংশ হিসেবে বিমানবাহিনীতে সংযোজন করেছি এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান, এমআই-১৭১ এসএইচ হেলিকপ্টার, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র এফএম-৯০।
বিমানঘাঁটি বঙ্গবন্ধু ও কক্সবাজারকে পূর্ণাঙ্গ ঘাঁটি হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে।
সকল ধরনের বিমান ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির সুষ্ঠু, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী রক্ষণাবেক্ষণ এবং ওভারহোলিংয়ের লক্ষ্যে আমরা নির্মাণ করেছি বঙ্গবন্ধু অ্যারোনটিক্যাল সেন্টার।
একই সাথে এমআই সিরিজ হেলিকপ্টার ওভারহোলিংয়ের লক্ষ্যে ২১৬ এমআরও ইউনিট নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
সম্প্রতি বিমানবাহিনীতে সংযোজন করেছি অত্যাধুনিক ফ্লাই বাই ওয়ার সিস্টেম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল ককপিট সংবলিত ইয়াক-১৩০ কমব্যাট ট্রেইনার বিমান ও উচ্চ প্রযুক্তিসমৃদ্ধ মেরিটাইম সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এডাব্লিউ১৩৯ হেলিকপ্টার।
আমাদের সমুদ্রসীমার এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন এর আকাশসীমা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য কক্সবাজারে স্থাপিত হয়েছে ওয়াইএলসি-৬ এয়ার ডিফেন্স রাডার।
সম্প্রতি বিমানবাহিনীতে সংযোজিত কে-৮ ডাব্লিউ জেট ট্রেইনার ও এল-৪১০ ট্রান্সপোর্ট ট্রেইনার বিমান উড্ডয়ন প্রশিক্ষণকে আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ করেছে।
এই একাডেমিতে আন্তর্জাতিক মানের বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলছে যা প্রশিক্ষণের মানকে আরও আধুনিক করবে বলে আমার প্রত্যাশা।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় মুক্তিযুদ্ধের সময় বিমানবাহিনীর রয়েছে গৌরবময় ইতিহাসকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
এ ছাড়া স্বাধীনতার পর দেশের বিমানবাহিনীকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পরপরই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তিনি (বঙ্গবন্ধু) একটি দক্ষ ও চৌকস বিমানবাহিনী গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন।
অতি অল্প সময়ের মধ্যে বিমানবাহিনীর জন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন।
বিদেশ থেকে আধুনিক সমরাস্ত্র সংগ্রহ করেন। জাতির পিতা চট্টগ্রামে জহুরুল হক ঘাঁটির গোড়াপত্তন করেন।
প্রধানমন্ত্রী নবীন ক্যাডেটদের নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমার প্রত্যাশা, বিমানবাহিনী একাডেমি থেকে যে মৌলিক প্রশিক্ষণ আপনারা গ্রহণ করেছেন তার যথাযথ অনুশীলন করবেন।
পেশাগত মানোন্নয়নের জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকবেন। প্রত্যেকটি চ্যালেঞ্জকে সুযোগে পরিণত করে তা ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে প্রয়োগ করবেন।
মনে রাখবেন, আপনাদেরকে বিমানবাহিনীর ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য সততা, একাগ্রতা ও নিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।