ফাইল ছবি
সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা থাকলেও ‘মাথা’ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে জিতলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সেটা ঘোষণা করতে না পারা এই জোটের সবচেয়ে বড় পরাজয়।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা থাকলেও মাথা নেই। তাদের এমন কোনো ফেস (নেতা) নেই যিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। দিন যত যাবে আগামী নির্বাচনে কারা ক্ষমতায় আসবে তা আরো স্পষ্ট হবে।’
এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এগিয়ে আছে উল্লেখ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, পরাজয়ের ভয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের ২৫ দিন আগে আন্দোলনের ঘোষণা দুঃস্বপ্নের নামান্তর। নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট করতে বিএনপি অনেক উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তবে দেশের জনগণ এখন নির্বাচনের আমেজে রয়েছে। তারা এখন আন্দোলনের মুডে নেই। বিএনপি যতই আন্দোলনের কথা বলুক, জনগণ এখন আর সে মুডে নেই। কিন্তু পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে নানা ভাবে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতির মেরুকরণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির নেতৃত্বে রয়েছে বিএনপি এবং অসাম্প্রদায়িক শুভ শক্তির নেতৃত্বে রয়েছে আওয়ামী লীগ। জনগণ আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অসাম্প্রদায়িক শক্তির পক্ষে আওয়ামী লীগকেই বিজয়ী করবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তির ওপর নির্ভরশীল। বিএনপি গুজবের ওপর নির্ভরশীল। বিএনপির জনগণের ওপর আস্থা কম। যাদের জনগণের ওপর আস্থা কম তারাই গুজবের ওপর নির্ভর করে। রাজধানীর নয়া পল্টনের বিএনপির কার্যালয় মিথ্যাচার আর গুজবের কারখানা।
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, মনোনয়ন নিয়ে অন্যবারের তুলনায় এবার দলের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া অনেক কমে যাবে। তবে যারা বিদ্রোহী হবে তাদের আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দণ্ডিত ব্যক্তির নির্বাচন না করাই ভালো। নৈতিকতার প্রশ্নে আওয়ামী লীগ এটাকে সমর্থন করে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণগ্রেফতারের অভিযোগ অস্বীকার করে সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা (ঐক্যফ্রন্ট) গণগ্রেফতারের যে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন। গণগ্রেফতারের সুনির্দিষ্ট তালিকা ছাড়া তাদের এ ধরনের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। তাদের গণগ্রেফতারের সুনিদিষ্ট তালিকা দিতে হবে। সন্ত্রাসী ও সুনিদিষ্ট মামলার আসামি ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।