কামরান আহমেদ : চোখে চশমা, পায়ে জুতা,পড়নে লুঙ্গি, রাতে বৃষ্টি হলেও একটু ভিজলোনা মৃতের দেহ। এমন হাজারো প্রশ্ন আর রহস্য নিয়ে মৃত্যু হয়েছে সিলেটে গোলাপগঞ্জে।
পশ্চিম খাগাইল গ্রামের নতুন ভবনের রডের সাথে সেলিম উদ্দিন (৪০) নামে এক লোকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার (১৪ জুলাই) ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নে গোলাপগঞ্জ উপজেলার আছিরগঞ্জ এলাকার একটি নতুন ঘরের রডের সাথে বাঁধা তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সেলিম উদ্দিন ঐ গ্রামের মৃত আলা উদ্দিন দর্জির বড় ছেলে। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রী হলেও বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসি মনিয়া মিয়ার একটি স্থানীয় বাড়ী দেখা শোনার দায়িত্বে ছিলেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাতে ঘুমন্ত বাড়ীতে ছিলেন কিন্তু বাড়ি থেকে বের হন কখন স্বজনেরা
কেউই বুঝতেই পারেনি। সকালে আশেপাশের লোকজন খবরে লাশ লোকজন দ্বারা জানতে পেরে তারা গিয়ে মরদেহটি শনাক্ত করেন।
তবে, মৃত সেলিম উদ্দিনের ভাই নাজিম উদ্দীন দিয়েছেন চাঞ্চল্যকর “তথ্য” বলছেন তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। সেলিমের মোবাইলে থাকা তথ্যই তাকে হত্যার করিয়েছে। কী রয়েছে সেই ভিডিও তে?
যার কারণেই তাকে হত্যা করা হতে পারে?
নাজিদের উদ্দিন আরো বলেন যে “আমাকে”ও হত্যা করা হতে পারে! এ দায় হবে “শিক্ষামন্ত্রী” নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি,গোলাপগঞ্জ বিএনপি নেতা আব্দুল গফুর, আওয়ামীলীগ নেতা আলিম উদ্দিন বাবলু, জামাতের নেতা এড. আজিম উদ্দিন এমনকী পুলিশের এস,আই ফখরুল ইসলামের দিকেও আঙুল তুল্লেন নাজিম। এ যেন মিচাইল ছুড়লেন এলাকার সকল শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের দিকে।
আমরা জানতে চাই এর পিছনের রহস্য কী? দিনের আলোর মত পরিস্কার করে দেখাতে চাই,শুনাতে চাই কী ঘটেছিল সেলিম উদ্দিনের সাথে।
তবে নাজিম উদ্দিন কী কোন কিছু ইঙ্গিত করতেছেন?
এখানেই কী লুকিয়ে রয়েছে সত্য?
অন্যদিকে, সেলিম উদ্দিনের স্ত্রী দিচ্ছেন অন্য তথ্য বলছেন দীর্ঘ দিন থেকে নূরুল ইসলাম নাহিদ এমপি বাগনে মনিয়া মিয়ার বাড়ীতে দেখ বালের দায়িত্ব ছিলেন সেলিম রাজমিস্ত্রী এবং আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন সেলিম তবে,তিনি আরো জানান যে কয়েক মাস থেকে কোন ও দৃশ্য কাজের সাথে যুক্ত হয়েছেন সেলিম আমরা জানতে চাই কী সেই কাজ যার পিছনে রয়েছে অদৃশ্য মহা শক্তি যার জন্যই হারাতে হলো সেলিম উদ্দিনের জীবন।
আমরা জানতে চাই কী সেই রাতের অদৃশ্য কাজ, কার সাথে তিনি কাজ করতেন? এবং কী কাজ করতেন। তবে, পরবর্তী প্রতিবেদনে খোলাসা হবে রহস্যজনক মৃত্যুর।
এদিকে, গোলাপগঞ্জের কুশিয়ারা এস, আই ফখরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন যে, স্থানীয়রা লাশটি ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে (শরীরে পেছনে বাঁধা) পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট উসমানী মেডিকেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের এমন রহস্য জনক মৃত্যু বলে প্রাথমিক এলাকার মানুষ মনে করছেন আমরা ও সহমত তবে,ময়নাতদন্ত ছাড়া পুলিশ কিছু বলতে চায় না।
তবে, মৃত সেলিম উদ্দিনের ভাই নাজিম উদ্দীনের কথা নিয়ে প্রশ্ন করতে গেলেই কল রেখেদেন পুলিশের এস, আই ফখরুল ইসলাম।
তবে, বলে রাখা ভালো, বিচারের দায়িত্ব বিচার বিভাগের আর দেখানো এবং শুনানোর দায়িত্ব আমাদের আর আমরা তাই দেখাবো —
সিলেট৭১নিউজ/টিআর/কা আ/গোলাপগঞ্জ