সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের ‘চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী সেনা’ নিয়োগ প্রকল্প ‘অগ্নিপথের’ বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।
বুধবার বিহারের গয়া, পাটনা, বক্সার, মুজফফ্রপুরসহ নানা জায়গায় ভারতীয় সেনায় চাকরিপ্রার্থীরা রেললাইন অবরোধ করেন। বৃহস্পতিবার ছপরায় পথ অবরোধ করা হয়। রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরে অগ্নিপথ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে হয়েছে বিক্ষোভ। হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশ থেকেও ক্ষোভের আঁচ মিলেছে। যে রাজ্যগুলির যুবকদের সেনায় যোগদানের হার বেশি, সেখানে আন্দোলন আরও তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সকালে বিহারের ভোজপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি রেল ইঞ্জিনে আগুন ধরাতে যান বিক্ষোভকারীরা। তাদের ঠেকাতে পুলিশের পক্ষ থেকে ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাস সেল। স্টেশনের অসংখ্য সিট উপরে দেয় বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভের জেরে আটকে পড়ে বহু ট্রেন। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি প্রায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। বিক্ষোভের ফলে রেল ও সড়ক যান চলাচলে যাতে কোনও বিঘ্ন না ঘটে তা নিশ্চিত করতে রেলস্টেশন এবং রাস্তায় প্রায় ২৫ হাজার নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়।
ভাভুয়া রোড রেলস্টেশনে বিক্ষোভকারীরা ট্রেনের জানালা ভাঙচুর করেছে। নওডাতে বিজেপির এমএলএ অরুনা দেবির ওপর হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। এঘটনায় অরুনা দেবিসহ পাঁচ জন আহত হয়েছে। জেলায় বিজেপির অফিসও ভাঙচুর করা হয়েছে। জেহনাবাদ ও আরাহতে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দেশের যুবকদের চাকরির বড় ভরসা হল সামরিক বাহিনী। চাকরিতে স্থায়িত্বের কারণে গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের তরুণরা সেনা বাহিনীর চাকরিকে বেছে নেন। কিন্তু অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োজিত চুক্তিভিত্তিক ‘অগ্নিবীর’দের চাকরি পাওয়ার চার বছরের মধ্যেই অবসর নিতে হবে। এককালীন অর্থও মিললেও থাকবে না পেনশনের ব্যবস্থা। সে ক্ষেত্রে তাদের আবার নতুন করে চাকরির সন্ধান করতে হবে। অনিশ্চিত হয়ে পড়বে ভবিষ্যৎ।
সিলেট৭১নিউজ/ইফতি রহমান