বানিয়াচং প্রতিনিধিঃঃ হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কে ডাকাতির ঘটনায় ফজলু মিয়া (৫০) নামে এক ডাকাত সরদারকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
ডাকাত ফজলু মিয়া বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৩নং দক্ষিণ-পূর্ব ইউনিয়নের অন্তর্গত দোয়াখানী মহল্লার মৃত সওদাগর উল্লাহর পুত্র। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার নিজ বাড়ি থেকে ডাকাত ফজলু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।থানা সূত্রে জানা যায়, রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) হবিগঞ্জের চৌধুরী বাজারের আলু ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান ও তার ম্যানেজার বিক্রম শুক্ল বৈদ্য (২২) বানিয়াচং থেকে সপ্তাহিক আলু বিক্রির বকেয়া ৪ লাখ টাকা তুলে মোটর সাইকেলযোগে হবিগঞ্জে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে রাত ৮টায় শুটকী ব্রিজের উত্তরের রাস্তার উপর অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন ডাকাত দুই পাশের খুঁটিতে রশি বেঁধে মোটর সাইকেল আরোহী হাফিজুর রহমান ও বিক্রম শুক্ল বৈদ্যের মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে। এরপর মারধর করে সঙ্গে থাকা নগদ ৪ লাখ টাকা ও ২টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় তারা।
বিষয়টি চাউর হলে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলির দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হবিগঞ্জ সদর) মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে বানিয়াচং থানার একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে ডাকাতির সাথে সম্পৃক্ত ফজলু মিয়াকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।ফজলু মিয়া পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে । এছাড়াও ডাকাতির ঘটনায় আরও ৭/৮ জন জড়িত ছিল বলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। ডাকাতির ২৪ ঘন্টার মধ্যে ক্লু উদঘাটন ও ১জন ডাকাতকে টাকাসহ গ্রেফতারের খবরে জনমনে স্বস্থি ফিরে এসেছে।এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরান হোসেন জানান, হবিগঞ্জের দু’জন ব্যবসায়ী প্রতি সপ্তাহে বানিয়াচংয়ে টাকা তুলতে আসতেন। ডাকাতরা বিষয়টি নজরে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটায়। ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত সবাইকে সনাক্ত করা হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপর ডাকাতদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
বিএ/২৩ ফেব্রুয়ারি