সিলেট ৭১ ডেস্ক:; ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ভুয়া কাগুজে প্রতিষ্ঠানকে ৫২৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার, প্রতিষ্ঠানটির সাবেক এমডি রাসেল শাহরিয়ারসহ ১৪ ব্যক্তির নামে ১৩টি মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতিমধ্যে একটি মামলা দায়েরও করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই কথা জানান দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
যে ১৩টি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৫২৩ কোটি টাকা ঋণ প্রদানের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে সেগুলো হলো, অ্যান্ড বি ট্রেডিংকে ৪৪ কোটি টাকা, ন্যাচার এন্টারপ্রাইজকে ৪৫ কোটি টাকা, নিউট্রিক্যাল লিমিটেডকে ৩০ কোটি টাকা, এস,এ এন্টারপ্রাইজকে ৪২ কোটি টাকা, সুখাদা এন্টারপ্রাইজকে ৪০ কোটি টাকা, এমটিবি মেরিনকে ৪০ কোটি টাকা, হাল ইন্টারন্যাশনালকে ৪৫ কোটি টাকা, সন্দ্বীপ করপোরেশনকে ৪০ কোটি টাকা, দিয়া শিপিং কোম্পানি লিমিটেডকে ৪৪ কোটি টাকা, মুন এন্টারপ্রাইজকে ৩৫ কোটি টাকা, বর্ণ এন্টারপ্রাইজকে ৩৮ কোটি টাকা, আরবি লিমিটেডকে ৪০ কোটি টাকা ও মেরিন ট্রাস্টকে ৪০ কোটি টাকা।
মাহবুব হোসেন বলেন, দুদকের দায়ের করা একটি মামলায় ফাস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাসেল শাহরিয়ারকে গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চারটায় মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
দুদকের তদন্ত থেকে জানা যায়, রাসেল শাহরিয়ার ফাস-এর এমডি থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তার একক স্বাক্ষরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ঋণ প্রস্তাব করে বোর্ডে উপস্থাপনের মাধ্যমে ঋণ অনুমোদন করে পি কে হালদারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কোম্পানিতে স্থানান্তর করেন।
দুদক সচিব বলেন, দুদকের অনুমোদিত ১৩ মামলা থেকে গতকাল একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় ফাস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাসেল শাহরিয়ার, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিকে হালদারেসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠান অ্যান্ড বি ট্রেডিংয়ের নামে জাল রেকর্ডপত্রাদি প্রস্তুত করে তা সঠিক হিসাবে ব্যবহার করে অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের মালিক শুভ্রা রানী ষোষকে ঋণ প্রদান করে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিং করা হয়।
এবিএ/১৬ ফেব্রুয়ারী