‘রক্তেলেখা উৎসব’
তীব্র কান্নার শব্দে প্রায়শ গভীর রাতে
আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়
উতপ্ত দিনে মুহুমুহু শ্লোগান শুনি কানে
বাকরুদ্ধ কণ্ঠে রক্ত তুলে গায়
কেবল ওহে একুশ! ওহে একুশ!
তুমি আজ কোথায়?
দীর্ঘ দিন তোমারী জন্য অপেক্ষমান
একুশ আমার মা
একুশ আমার সুরভীর কণ্ঠে তা না না
পুড়া শরীর ভুলে যায় বিস্মৃতির সুখ
কাঁদে চির কবিতার দেশ
অ আ বর্ণমালারা তেপান্তরে ঘুরে
মরা লাশের খুলি চিকচিক করে স্মৃতিতে
বিস্ফোরণের জ্বালা জ্বলন্ত এ বুক পাঁজরে
নিরপরাধ শিশুটির মুখ আমাকে কাঁদায়
বুক ফাটে ষড়যন্ত্রের মেকী জালে
এইতো আমি একুশ বলে
ক্ষুধার আবেগ নিয়ে বাসর সাজাই
ভিখেরীর মতো হাঁটি অবোধ পথে
ধুলো জড়ানো মৃত্তিকার দেহে
রক্তখেকো পশুগুলো চেটেপুটে খাচ্ছে তরতাজা প্রাণ
শুধু তীব্র জ্বলে দুর্বাশার এ শিরা উপশিরা।
দুচোখে কেবল মৃত্যুর কোলাহল
বুকে বাজে বিনাশী তরুর স্বপ্ন গান
অবশেষে ফুঠে উঠবে দৃশ্যমান মানচিত্র
আমার আকাশে আজ পূণ্যের মিলিত উদ্যান
বায়ান্নের ধুতরার বিষে আয়োজন করি
বাঙ্গালির ভাষাতিথি রক্তেলেখা উৎসব!
এবিএ/ ০১ ফেব্রুয়ারী