ছাতক প্রতিনিধি: সিলেটের ছাতক উপজেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বলি হয়েছেন এক আওয়ামীলীগ কর্মী। তার নাম ফারুক আহমদ। নিহত ফারুক উপজেলার মৈশাপুর গ্রামের আহমেদ আলীর পুত্র। জানা যায়, গত ৫ মার্চ সন্ধারাতে বাজার থেকে ফেরার পথে প্রতিপক্ষ গ্রুপের অতর্কিত হামলায় তিনি মারা যান। নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল রাতে দাফন করা হয়েছে। এদিকে ফারুক আহমদ খুনের ঘটনায় ছাতক উপজেলা আওয়ামিলীগের বিবাদমান দুইটি গ্রুপ পরষ্পরকে দোষারোপ করছে। গতকাল (৬ মার্চ) সন্ধায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি(একাংশ) রিয়াদ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক(একাংশ) মাসুম বিল্লাহর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শামীম আহমেদ চৌধুরী গ্রুপের নেতাকর্মীরা। তারা এই ঘটনার জন্য স্থানীয় সাংসদ মহিবুর রহমান মানিক ও তার ভাই ইউপি চেয়ারম্যান বিলাল আহমেদকে দায়ী উল্লেখ করে তাদের গ্রেফতার দাবী করছেন। ওপরদিকে মুহিবুর রহমান মানিক গ্রোপ নিহত ফারুককে তাদের কর্মী দাবী করে শামীম চৌধুরী ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দায়ী করেছে।
এই ঘটনায় গতকাল ( ২০ মার্চ) ছাতক থানায় ৪ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামীরা হলেন ১, মাসুম বিল্লাহ, ২, রিয়াদ আহমেদ, ৩, জাহেদ আহমেদ, ৪, মুস্তাসিম বিল্লাহ,।
মামলার বাদী নিহত ফারুকের বাবা আহমেদ আলী। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজালাল মুন্সী মামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অবিলম্বে প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য মাঠে রয়েছে পুলিশ। দ্রুত গ্রেফতার করে সকল খুনিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। স্থানীয় সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয় কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। যদিও অপর গ্রুপের নেতা শামীম আহমেদ চৌধুরী নিহত ফারুককে তার কর্মী দাবী করে বলেন, ‘এমপি মানিক ও তার ভাইয়েরা ফারুককে খুন করেছে। অথচ এমপি নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রকৃত আসামীদের বাইরে রেখে তার (শামীম) অনুগত ছাত্রলীগের নেতাদের ষড়যন্ত্রমুলকভাবে আসামী করেছেন।’
উল্লেখ্য ছাতকে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগের বিবাদমান দুইটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। একটি এমপি মানিক গ্রুপ ওপরটি সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ চৌধুরী গ্রুপ। উভয়গ্রুপের দ্বন্ধকে কেন্দ্র করে খুনোখুনির ঘটনা এটিই প্রথম নয়।