বিশ্বনাথ প্রতিনিধি;; সিলেটের বিশ্বনাথের মাহতাবপুরে মাছ বাজারের দোকান-কোটা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে চেয়ারম্যান ও নারীসহ ৩৫ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের মাহতাবপুর গ্রামের বশির মিয়া (৪৫) ও হেলাল উদ্দিন মেম্বারের ভাতিজা রুহুল আমীন সুন্দর (৩৫) পক্ষের মধ্যে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, এতে মধ্যস্থতাকারী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া (৫৫) ও পিয়ারা বেগমসহ (৪০) দু’পক্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ১৫ জনকে সিলেট ওসামনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বশির মিয়া (৪৫), মধ্যস্থতাকারী লামাকাজি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া ও পিয়ারা বেগমের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের মাহতাবপুরের মাছ-বাজারে দোকান কোটার জায়গা নিয়ে বশির মিয়া ও হেলাল মেম্বারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। পূর্ব এ বিরুধের জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রুহুল আমীনের বাড়ির সামনে বশির মিয়ার উপর হামলা করেন হেলাল মেম্বারের ভাতিজা রুহুল আমীনসহ তার পক্ষের লোকজন। এ সময় বশির মিয়ার ব্যবহৃত পালসার মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।
হামলার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছুক্ষণ পর মাহতাবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিততি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে উভয় পক্ষের ৫ জনকে আটক করে থানা পুলিশ।
আটকৃতরা হলেন, ইকবাল হোসেন (২০), বদরুজ্জামান (৪২), আফরুজ আলী (২৪), ইমন আহমদ (১৯) ও ফরহাদ আহমদ (২০)।
গুরুতর আহতরা হলেন, বশির মিয়ার ভাতিজা ভুট্টু মিয়া (৪০), সহিদ হাসান (১২), সাহিদুর (২৫), আমরুজ আলী (২৫), আলী নুর (৩৮), জামিল আহমদ (২৫), আলী আমজদ (২৪), আলী আকবর (২২), ছয়দুল হক (২৫), প্রতিপক্ষ রুহুল আমীন (৩৫), তার পক্ষের শফাত আলী (৪০), গিয়াস উদ্দিন (৫০), জামিল আহমদ (২৩), জুয়েল (২৫), আলম হোসেন (২৪), ফারুক আহমদ (২৭), ফকির আলী (২০), সাদিক আলী (২১)।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতউর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং অনাকাঙ্কিত ঘটনা এড়াতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মামলা দেওয়া হলে পরবর্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আইআর/২২ ডিসেম্বর