মৌলভীবাজার প্রতিনিধি;; মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-রবিরবাজার সড়কের দীর্ঘদিনের পুরাতন বেইলি সেতুটি সংস্কারের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় প্রতিদিন প্রায় কয়েকশো গাড়ি ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সেতুটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সেই সাথে আশঙ্কা করা হচ্ছে দুর্ঘটনার।
সরেজমিনে গিয়ে ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, দীর্ঘদিনের পুরাতন এ সেতুটি জোড়াতালী দিয়ে সংস্কার করে সচল রাখা হলেও ঘন ঘন ভেঙে যাওয়ায় মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিন ছোট-বড় গাড়ির সঙ্গে বালু ও পণ্যবোঝাই ট্রাক সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করে।
কুলাউড়ার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের ওপর স্থাপিত ৩০ বছরের পুরোনো ফানাই বেইলি সেতুর অবস্থা এতোটাই জরাজীর্ণ যে- গত দুই বছরে আট থেকে ১০ বার ভেঙে পড়েছে এটি। সেতুটি দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কুলাউড়া-রবিরবাজার সড়কে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দায় সেরেছে কর্তৃপক্ষ।\হউপজেলার পৃথিমপাশা, কর্মধা, টিলাগাঁও, হাজীপুর ও শরীফপুর ইউনিয়নের প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ রবিরবাজার-কুলাউড়া সড়কপথ দিয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন। সড়কের রাউৎগাঁও অংশে ফানাই নদীর ওপর থাকা পুরোনো বেইলি সেতুটির ট্র্যানজাম, পাটাতন ভেঙে পড়ে প্রায়ই। চলতি বছরের ১৮ মার্চ ও ২ জুলাই সেতুটির ট্র্যানজাম ভেঙে যাওয়ায় এ পথ দিয়ে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
সম্প্রতি সেতুর ওপরের অংশে থাকা স্টিলের তিনটি প্লেট খুলে যায়। এরপর বেইলি সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রেখে ওয়েল্ডিং করে খানিকটা সংস্কারকাজ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সংস্কারের কয়েক ঘণ্টা পরই সেতুর দুটি স্টিল প্লেট আবার খুলে যায়। এ অবস্থায়ই প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে সহস্রাধিক গাড়ি এর ওপর দিয়ে চলাচল করছে।
দ্রুত সেতুটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে স্থানীয়রা বলেন, সেতুটি মেরামত করা জরুরি। সেতুটি ভেঙে গেলে জেলা ও উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে যেতে অনেক কষ্ট পোহাতে হবে। সেতুটি মেরামত করা না হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তিতে পড়তে হবে। তাই বর্ষা মৌসুমের আগেই সেতুটি নতুন করে মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, বেইলি সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করার জন্য নকশা তৈরি হচ্ছে। নকশা গ্রহণযোগ্যতা পেলে অচিরেই নির্মাণকাজ শুরু হবে।
আইআর/১৩ ডিসেম্বর