জৈন্তাপুর প্রতিনিধি: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ফতেপুরে গত বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) ১ম শ্রেণির এক শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, উত্তর বাগেরখাল গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে পাবেল মিয়া (২০) এবং একই গ্রামের মইন উদ্দিন উরফে কুটিনা মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন (২১)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) উপজেলার জামেয়া ইসলামীয়া দারুল হাদীছ ক্বামরুল ইসলাম মুহিউস্সুন্নাহ বাগেরখাল মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে যায় ওই শিশুটি। মাহফিলের এলাকা থেকে শিশুটিকে খাবার কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যান পাবেল মিয়া ও আনোয়ার হোসেন (২১)। এরপর মেদলের খা নামক স্থানে নিয়ে গিয়ে মুখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন তাঁরা। রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটি কান্নাকাটি করে বাড়িতে যায় এবং বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ রক্তমাখা জামাকাপড় জব্দ করে এবং শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট এম. এ. জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় পুলিশ নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। জানা যায়, পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেনের বাবা মইন উদ্দিন উরফে কুটিনা মিয়া ও পাবেল মিয়া বড় ভাই রাশেল মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
পরে অভিযুক্তদের পুলিশ হেফাজতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি এবং সুষ্ঠু বিচারের আশায় ফতেপুর ইউপি বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, মন্তাজ মেম্বার তাঁদের ছাড়িয়ে নিয়ে যান। এদিকে ঘটনার পাঁচ দিন পার হয়ে গেলেও কোনো সুরাহা পাননি ভুক্তভোগীর পরিবার। শিশু ধর্ষণ মামলা বিচারের জন্য ধারে ধারে ঘুরছেন তাঁরা। অপরদিকে ধর্ষণ মামলার আসামিরা এলাকায় বুক ফুলিয়ে ঘুরো বেড়াচ্ছেন বলে জানান স্থানীয়রা। ইউপি চেয়ারম্যান ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রশিদ বলেন, একটি ঘটনা ঘটেছে, ধর্ষণ হয়েছে কিনা তা জানি না। জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমদ বলেন, ‘শিশুটির পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি জানাই এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারীদের দাবি জানাই।’ জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম দস্তগীর আহমদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘এ ঘটনায় আসামিদের ধরতে পুলিশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েছে। আমরা ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের জন্য সকল ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’
বিএ/১৩ নভেম্বর