সিলেট৭১নিউজ::পরিবহন ধর্মঘট ডেকে জনভোগান্তি তৈরির বিরুদ্ধে আইন করতে যাচ্ছে সরকার। নতুন এ আইনে জরুরি প্রয়োজনে বিদ্যুৎ, টেলিযোগাযোগ, পরিবহনসহ যেকোনো সেবাকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা’ ঘোষণা করতে পারবে সরকার। ‘অত্যাবশ্যক’ ঘোষণার পর সেখানে ধর্মঘট ডাকা যাবে না, মালিকরাও প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে পারবেন না। তা না মানলে দণ্ডের বিধান রাখা হচ্ছে।
গত ৪ অক্টোবর ‘অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইন, ২০২১’ নামে এ আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এটি এখন ভেটিং বা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে আছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন। মন্ত্রিসভার ওই বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘সরকার কোনো সময় জরুরি প্রয়োজনে বিভিন্ন সেবাকে অত্যাবশ্যক পরিষেবা ঘোষণা করতে পারবে। অত্যাবশ্যক ঘোষণার পর কর্মীরা বেআইনিভাবে ধর্মঘট ডাকতে পারবেন না, মালিকরা কারখানা বন্ধও করতে পারবেন না, লে-অফও করতে পারবেন না। ডাক ও টেলিযোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল, ডিজিটাল আর্থিক সেবাসহ যেকোনো ডিজিটাল সেবা, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ, জল, স্থল ও আকাশপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন, বিমানবন্দর পরিচালনা, স্থল ও নদীবন্দর পরিচালনা, কাস্টমসের মাধ্যমে কোনো পণ্য ও যাত্রীর পণ্য ছাড় করার কাজ, সশস্ত্র বাহিনীর কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো কার্যক্রম, প্রতিরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে সম্পর্কিত কার্যক্রম, খাদ্যদ্রব্য ক্রয়, সংগ্রহ ও সংরক্ষণের সঙ্গে সম্পর্কিত কার্যক্রম ইত্যাদি।’
সরকার এগুলোকে অত্যবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে ঘোষণা করতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ঘোষণা সর্বোচ্চ ছয় মাসের জন্য হবে। আইন অমান্য করে কেউ ধর্মঘট করলে তাকে বরখাস্তসহ তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইন ভাঙলে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা ছয় মাসের কারাদণ্ড হতে পারে। মালিক ভাঙলে এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ও এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হবে। কেউ আইন ভাঙতে প্ররোচিত করলে এক বছর কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে ।’
বিএ/৬ নভেম্বর