দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধি:: দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলাসহ ১০জন গুরুতর আহত হয়েছেন। ২২ মে শনিবার দুপুর সাড়ে ১১টায় উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে সংযত থাকার অনুরোধ জানান।
জানা যায়, উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নোয়াগাওঁ পূর্বপাড়া গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তায় গত গত ২২ মে শনিবার দুপুরে একই গ্রামের বেলাল মিয়ার পুত্র আব্দুল কাইয়ুম টিটু, রুহুল আমীন শাকিল, মৃত কঠাই ধন মিয়ার পুত্র শাবেল মিয়া, লায়েক মিয়া, মখরম উল্লাহর পুত্র মোঃ আলী, সিরাজ মিয়ার পুত্র আব্দুল কাইয়ুম রুহিনসহ কতিপয় লোকজন দেয়াল নির্মাণের চেষ্টা করে। এমতাবস্থায় গ্রামের মৃত রইছ উল্লাহর পুত্র মোঃ মফিক মিয়া তার পরিবার পরিজন নিয়ে অত্র রাস্তায় দেয়াল নির্মাণে বাধা দিলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় মহিলাসহ ১০জন আহত হন। এসময় প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আহতদের সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান পীর ফয়জুল হক ইকবাল, সিলাম ২নং ওয়ার্ডের সদস্য কয়েছ আহমদসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আপোষের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করেন।
আহতরা হলেন, মৃত ইছরাইল মিয়ার পুত্র আব্দুল জলিল, মফিক মিয়ার স্ত্রী স্বপ্না বেগম, লুৎফর রহমানের পুত্র শওকত আলী, মনির মিয়ার পুত্র অলি আহমদ সুফি, খলকু মিয়ার স্ত্রী আলতারা বেগম, খলিল মিয়ার পুত্র সুমিক মিয়া।
এ ঘটনায় মফিক মিয়া বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামী করে এসএমপি’র দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ফলে এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মামলার বাদী মফিক মিয়া বলেন, নোয়াগাঁও পূর্বপাড়া গ্রামের প্রায় ৬০টি পরিবারের লোকজন স্মরণাতিত কাল থেকে এ রাস্তায় চলাচল করে আসতেছেন। কয়েক বছর আগে সেটেলম্যান্ট জরিপ চলাকালে গ্রামের একটি পক্ষ এ রাস্তাকে তাদের নিজেদের বলে দাবী করলে এ নিয়ে গ্রাম্য শালিসের আয়োজন করা হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষ শালিস না মানায় বর্তমানে রাস্তা নিয়ে দেওয়ানী আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। মামলার রায় না হওয়ার আগেই গ্রামবাসীর চলাচলের এ রাস্তায় দেয়াল নির্মানের অপচেষ্টা এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনের কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ আইনানুগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।