আজ ১১ অক্টোবর মৌলভীবাজারে তালামীয নেতাদের উপর শিবিরের পাশবিক হামলার অর্ধযুগ পূর্তি হয়েছে এ উপলক্ষ্যে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা তালামীযের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপক্ষের কাছে দ্রুত বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য
আবেদন জানিয়ে একটি প্রেস বিবৃতিতে দিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
আজ বৃহস্পতিবার ১১ অক্টোবর মৌলভীবাজার সদর ও জেলার অনেক দায়িত্বশীল নেতাকর্মী উপজেলা তালামীযের প্যাডে সাক্ষর করে গণমাধ্যমে পাঠান।
স্বাক্ষরিত বিতৃতিতে জানানো হয়- ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর মৌলভীবাজারে পূর্ব শত্র“তার জের ধরে তালামীযে ইসলামিয়ার নেতাকর্মীদের হামলা করে ছাত্রশিবির ক্যাডাররা।
এ ঘটনায় তখন শিবিরের ৬ ক্যাডারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় তাৎক্ষণিক ২০১২ সালে তালামীযের পক্ষ থেকে ১১ অক্টোবর ২০১২ সালে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় মামলা নং ১৩ কিন্তু এই মামলাটি দীর্ঘসূত্রিতায় রূপ নিয়েছে।
এর মধ্যে মামলার বাদীপক্ষের অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্বাক্ষী প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছেন। প্রবাসে অবস্থানকারীদের মধ্যে মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন এই হামলায় আহত তৎকালিন মৌলভীবাজার টাউন কামিল মাদরাসা তালামীযের সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমিন।
তারা উলেখ্য করেন মো.রুহুল আমি সাক্ষী দিতে আসার চেষ্টা করলে শিবির ক্যাডাররা বিভিন্ন ভাবে প্রাণনাসের হুমকি দিয়ে আসছে। তাই সঠিক সময়ে স্বাক্ষ্য দিতে না পারায় তার উপর আদালত সম্প্রতি ওয়ারেন্ট জারি করেছে।
এই ওয়ারেন্টে জারির কিছুদিন পর রুহুল আমিনের মা ইন্তেকাল করেন। গ্রেফতারের ভয়ে তিনি দেশে আসতে পারেন নি। শরিক হতে পারেন নি মায়ের জানাযায়।
বিজ্ঞপ্তি আরো জানানো হয়- এই হামলায় শেখ কাদের আল হাসান নামের আরো এক তালামীয নেতার সাড়া শরীর কূপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়। ভেঙে দেয়া হয় তার পা। দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসার কারণে তিনি এখন অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠলেও দৈনিন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় ভারি কোন কাজকর্ম করতে পারেন না। এ অবস্থায় তালামীযে ইসলামিয়া সাংগঠনিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষ যদি মামলাটি দ্রুত পরিচালনা করতেন তাহলে বাকী সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে পারতেন।
বিবৃতির স্বাক্ষরদাতারা হলেন- মৌলভীবাজার জেলা তালামীযের সহসভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক,
সহ সাধারণ সম্পাদক রাজন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রেদোয়ানুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাফিয জামাল আহমদ, সদর উপজেলা তালামীযের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান আজহার, সাংগঠনিক সম্পাদক মুবাসসির আহমদ প্রমুখ।