বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সিলেট ছাত্রলীগ। অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে চার মাসে নিহত হয়েছেন তিন কর্মী। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় দুই আওয়ামী লীগ নেতার বিরোধই সংঘাতের কারণ। রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবকে দুষছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও।
সিলেট সরকারি কলেজ, এমসি কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নগরীর টিলাগড় এলাকায়। এসব প্রতিষ্ঠানে আধিপত্য বিস্তার নিয়েই বারবার দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। এক পক্ষের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক রনজিত সরকার, অন্যপক্ষ মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদের সমর্থক।
গত চার মাসে এসব প্রতিষ্ঠানে সংঘর্ষে প্রাণ গেছে তিন ছাত্রলীগ কর্মীর। কিন্তু সংগঠনের পক্ষ থেকে এ নিয়ে দেখা যায়নি কোন কার্যকর ভূমিকা। ছাত্রলীগের এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রত স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারাও। আদর্শ নয়, বরং রাজনীতিতে ব্যক্তিস্বার্থের প্রাধান্যই এর কারণ মনে করেন তারা।
হত্যা, সংঘাত, ছাত্রাবাসে আগুন, ভাঙচুরসহ নানা ধরনের অপরাধে জড়ালেও প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কণ্ঠেও ফুটে উঠছে অসহায়ত্ব। রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া শুধু আইনের কঠোরতার মাধ্যমে সংকট সমাধান সম্ভব নয়, বলছে পুলিশ।
গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর টিলাগড়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন হন ছাত্রলীগকর্মী জাকারিয়া মাসুম, ১৬ অক্টোবর প্রতিপক্ষের হাতে মারা যান ওমর ফারুক মিয়াদ। সবশেষ রোববার প্রাণ হারান ছাত্রলীগ কর্মী তানিম খান।