জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘লন্ডনী বধূর আতœকথা’ বইটি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ এবং অর্থবহ ভুমিকা রাখবে। বইটিতে রয়েছে সমাজ ও সমাজ সংস্কারের ম্যাসেজ (বার্তা)। মানুষ বইটি পড়ে বাল্য বিবাহের বিভিন্ন খারাপ প্রভাব সম্পর্কে বুঝতে পারবে এবং বইটি মানুষের মধ্যে সচেতনতাবোধ জাগ্রত করবে।
তিনি রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্সে ‘লন্ডনী বধূর আতœকথা’ বইয়ের শুভেচ্ছা কপি প্রদানকালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, লেখিকা গোলশান আরা রুবী সমাজ সংস্কারে এ বইয়ের মাধ্যমে যে অনন্য অবদান রেখেছেন তা নিশ্চয় প্রশংসার দাবিদার। তিনি কবি গোলশান আরা রুবীকে ‘সাহসী ও সংগ্রামী নারী’ বলে অভিহিত করেন। জীবন সংগ্রামে তিনি একজন বিজয়ী নারী এবং সকল নারী জাতিকে জীবন যুদ্ধে সংগ্রাম করে কবির মত জয়ী হয়ে সামনে এগিয়ে যাবার আহবান জানিয়েছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কবি গোলশান আরা রুবীর নাতি জাবেদ হোসেন, দ্বীন মোহাম্মদ, মো. রমজান আলী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, দেশে বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ‘লন্ডনী বধূর আতœকথা’ গ্রন্থটি লিখেছেন বাংলাদেশের বিখ্যাত ও প্রথিতযশা কবি ও সাহিত্যিক গোলশান আরা রুবী। কবি গোলশান আরা রুবীর আতœজীবনীমুলক এই গ্রন্থে তার নিজের জীবনের ঘটনাবলীর সাথে সাথে ফুটে উটেছে সমাজ জীবনে বহমান বিভিন্ন বিচার-অবিচার ও ন্যায়-অন্যায়ের জীবন্ত চিত্র। যা পাঠকদেরকে জীবনদর্শন সম্পর্কে সুগভীর জ্ঞানদান করবে। ইতিমধ্যে, বইটি দেশে বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বইটি নিয়ে মিডিয়াতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। সর্বশেষ, বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘প্রবাসে প্রিয়জন’ অনুস্টানেও বইটি নিয়ে আলোচনা করা হয়। ইতিমধ্যে বইটি কয়েক হাজার কপি বিক্রি হয়ে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বইটি পাঠকরা পাবার জন্য অনুরোধ করে যাচ্ছে। দেশ বিদেশ থেকে অসংখ্য পাঠক চাহিদা থাকার কারণে বইটি এমাজনের (Amazon.com) মাধ্যমে অনলাইনে বিক্রির সিধান্ত নেওয়া হয়েছে।