এসবিএন হেলথ ডেস্কঃ আমরা দৈনন্দিন জীবনে যেসব অভ্যাসগত আচরণ করে থাকি, তার কিছুটা ব্যতিক্রম লক্ষণীয়। এখানে যেসব স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো হিতে বিপরীত ফল আনতে পারে নিম্নোক্ত টিপসগুলোতে তা জেনে নিনঃ-
১. অনেক সকালে ঘুম থেকে ওঠা
খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। মূলত সকালে কখন ঘুম থেকে উঠলে আপনি সুস্থ বোধ করেন তা বুঝতে হবে। এরপর সেই সময় ধরে ৭/৮ ঘণ্টা আগে ঘুমাতে যেতে হবে। কারণ সকালে যদি ঘুম থেকে উঠতে কষ্ট হয়, তাহলে বুঝতে হবে দেহের হরমোন সিস্টেম আরো ঘুম চায়। এই কাঠামো থেকে জোরপূর্বক বেরিয়ে আসা স্বাস্থ্যকর নয়।
২. টু-ডু লিস্টের ওপর নির্ভরশীলতা
জীবনটাকে গুছিয়ে রাখতে দারুণ কার্যকর স্মার্টফোনের টু-ডু লিস্ট। তবে দিনের কাজ গোছাতে মোবাইলের ওপর নির্ভর করাটা মস্তিষ্কের জন্য ভালো নয়। এতে স্মৃতিশক্তি ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ে। কাজের তালিকা প্রস্তুতসহ এদের বাস্তবায়নের পরিকল্পনা প্রণয়ন মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। খুঁটিনাটি বিষয় মনে রাখার সহজ কৌশল রয়েছে। যেমন আপনার বাজারের তালিকার প্রথম তিনটি পণ্য যদি হয় দুধ, ডিম আর রুটি। এগুলো একটা একটা করে মনে রাখা কষ্টকর। কিন্তু চিন্তায় গল্পের মতো একটা কাহিনী চিন্তা করে নিলে কখনো ভুলবেন না। ধরুন, বিশাল একটা দুধের প্যাকেট হঠাৎ ফেটে গেল। এটা থেকে হাজার হাজার ডিম বেরিয়ে চারদিকে পড়ছে। ডিমগুলো ফেটে যাওয়ার পর কিভাবে যেন সেখান থেকে রুটি তৈরি হচ্ছে। ঘটনাটা সাজিয়ে বেরিয়ে পড়ুন। কিছুই ভুলবেন না।
৩. প্রতিদিন ব্যায়াম
অনেকেই প্রতিদিন ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তোলেন। দেহটা খুব দ্রুত সুগঠিত হচ্ছে বলে মনে হয়। অথচ এই কথিত স্বাস্থ্যকর অভ্যাসে আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে অতিমাত্রায় শরীরচর্চার কারণে। পেশিতে বড় ধরনের ক্ষত সৃষ্টি হওয়া বিচিত্র নয়। যাঁরা নিয়ম ধরে প্রতিদিন ব্যায়াম করেন, তাঁদের দেহের কোথাও না কোথাও সব সময় আঘাত লেগেই থাকে। তার চেয়ে অনেক ভালো পদ্ধতি এটা যে, আজ ইয়োগা চর্চা করে আগামীকাল জিমনেসিয়ামে গিয়ে ব্যায়াম করা।
৪. উইকিপিডিয়ায় স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য খোঁজা
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও অনেক সময় উইকিপিডিয়ায় ঢুঁ মারেন। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, পিঠে ব্যথা, বিষণ্নতা বা উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি সমস্যায় চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে সবাই উইকিপিডিয়ায় সমাধান খোঁজেন। অথচ তাঁর আসলে কী হয়েছে একজন বিশেষজ্ঞই সঠিক বলতে পারেন। এ ছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাস্থ্য-রোগ সংক্রান্ত যেসব মেডিক্যাল জার্নাল প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, তার প্রতি ১০টার মধ্যে ৯টিতে কিছু না কিছু ভুল থাকে।