April 19, 2024, 8:49 am

সংবাদ শিরোনাম :
জমির ধান নষ্ট করে দিলো প্রতিপক্ষ: দিশেহারা কৃষক সিলেটে ইট ভাটা নিয়ে নজিরবিহীন কেঙ্ককারী বিশ্ব গাজায় হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করছে, বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না : প্রধানমন্ত্রী সুজানগর ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদের কমিটি গঠন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত মাওলানা লুৎফুর রহমানের মৃত্যু ”গুজব সংবাদ ফেসবুকে” বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বিজিবির নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) পদে নিয়োগ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জোরালো ভূমিকা নিতে হবে সচিবদের :প্রধানমন্ত্রীর বইমেলা বাঙালি জাতিসত্তা দাঁড় করাতে সহায়ক : কবি নুরুল হুদা দুর্নীতি-অনিয়ম র অভিযোগে ডৌবাড়ী প্রবাসী কল্যাণ ট্রাস্টের ৪ সদস্য বহিষ্কারের অভিযোগ ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী গোয়াইনঘাটের শীর্ষ কুখ্যাত চোরাকারবারী কালা মিয়া বিছানাকান্দি সীমান্তে অবৈধ পথে ঢুকছে ভারতীয় গরু :নেপথ্যে গোলাম হোসেন! বাদাঘাট মসজিদে ৫ লাখ টাকার অনুদান দিলেন সেলিম আহমদ এমপি রতনের আশীর্বাদ : যাদুকাটা গিলে খাচ্ছে রতন-মঞ্জু গোয়াইনঘাটে স্কুলের নামে প্রবাসীর জমি দখল গোয়াইনঘাটে এক শিবির নেতার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ  সিলেটে শেখ হাসিনার প্রথম সফর স্মরণ করে আবহবিচ’র দু’আ মাহফিল শেখ হাসিনার সিলেট শুভাগমণের ৪৩ বছর সোমবার সিলেটে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক এমপির আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা নির্বাচিত সুনামগঞ্জের গোলাম আজম তালুকদার দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মোখা:‘পরিস্থিতি বুঝে’ এসএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে নির্বাচনের ৪ দিন আগে নতুন যে প্রতিশ্রুতি দিলেন এরদোগান উত্তাল পাকিস্তান, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হামলা জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বৈধ বলার সুযোগ নেই আমি প্রেসিডেন্ট থাকলে ইউক্রেন যুদ্ধ ঘটত না: ট্রাম্প কী হচ্ছে, আর কী হবে তা সময়ই বলে দেবে: অপু বিশ্বাস সুদান থেকে ফিরলেন আরও ৫১ বাংলাদেশি
শবে মেরাজ ও আমল

শবে মেরাজ ও আমল

Please Share This Post in Your Social Media
সিলেট৭১নিউজ:মুসলিম জীবনের তিনটি পবিত্র রজনীর মধ্যে লাইলাতুল মেরাজ অন্যতম। অন্য দু’টি হলো লাইলাতুল কদর ও লাইলাতুল বরাত। এর মধ্যে লাইলাতুল মেরাজ ও লাইলাতুল কদরের কথা পবিত্র কুরআনে উল্লেখ আছে। মেরাজ রাসূল সা:-এর অন্যতম মুজেজা বা অলৌকিক ঘটনা।

হিজরতের কিছু দিন আগে মেরাজের সুমহান ঘটনাটি ঘটে নবীজীবনে। একটি সৃজিত জাতির জাগতিক ও পারলৌকিক মঙ্গলের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের বাস্তব প্রশিক্ষণই ছিল এই মহামিলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো রাসূল সা:-কে এই রজনীতেই অবহিত করা হয়। বস্তুত মেরাজই হলো ইসলামি গতিধারার মূল উৎস। তাই মুসলিম জাতিসত্তার জন্য নবীজীবনের মেরাজ এক তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়।

আজ দিন পেরিয়ে রাতের আঁধার নামলেই আবির্ভাব ঘটবে এক অলৌকিক অসামান্য মহাপুণ্যে ঘেরা রজনী। এ রজনী মহাপবিত্র মহিমান্বিত লাইলাতুল মেরাজের। এ রাতে আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম হযরত জিব্রাঈল আলাহিস্সালামের সাথে পবিত্র কাবা হতে ভূ-মধ্যসাগরের পূর্বতীর ফিলিস্তিনে অবস্থিত পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে সপ্তাকাশের উপর সিদরাতুল মুনতাহা হয়ে সত্তুর হাজার নূরের পর্দা পেরিয়ে আরশে আজিমে মহান আল্লাহ তায়ালার দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি অবলোকন করেন সৃষ্টি জগতের সমস্ত কিছুর অপার রহস্য। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম-এর জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা ‘মেরাজ’।

মেরাজ ইসলামের ইতিহাসে এমনকি পুরা নবুওয়াতের ইতিহাসেও এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। কারণ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ছাড়া অন্যকোনো নবী এই পরম সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি। এ মেরাজ রজনীতেই মানবজাতির শ্রেষ্ঠ ইবাদত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হয়। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযথ মর্যাদায় মুসলিম জাহানের সঙ্গে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরাও আজ কোরআনখানি, নফল সালাত, জিকির-আসকার, ওয়াজ মাহফিল, দোয়া-দরুদ পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে পবিত্র শবে মেরাজ পালন করবেন।

মেরাজ শব্দটি আরবী, অর্থ ঊর্ধ্বারোহণ। এ মেরাজের বড়দাগে অর্থ দাঁড়ায়-সপ্তম আসমান, সিদরাতুল মুনতাহা, জান্নাত-জাহান্নাম পরিদর্শন ও ধনুক কিংবা তার চেয়ে কম দূরত্বে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য পর্যন্ত ভ্রমণ। এ ছিল আল্লাহ তাআলার মহান কুদরত, অলৌকিক নিদর্শন, নবুয়তের সত্যতার পক্ষে এক বিরাট আলামত। জ্ঞানীদের জন্য উপদেশ, মোমিনদের জন্য প্রমাণ, হেদায়েত, নেয়ামত, রহমত, মহান আল্লাহর একান্ত সান্নিধ্যে হাজির হওয়া, ঊর্ধ্বলোক সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন, অদৃশ্য ভাগ্য সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান লাভ, ইহকাল ও পরকাল সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন, স্বচক্ষে জান্নাত-জাহান্নাম অবলোকন, নভোমন্ডল পরিভ্রমণ এবং সর্বোপরি এটিকে একটি অনন্য মুজিযা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা।

পারিভাষিক অর্থে নবুয়তের একাদশ সালের ২৭ রজবের বিশেষ রাতের শেষ প্রহরে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম জিব্রাঈলের (আ.)সাথে আল্লাহর নির্দেশে বায়তুল্লাহ হতে বায়তুল মুক্বাদ্দাস পর্যন্ত ‘বোরাক্বে’ ভ্রমণ, অতঃপর সেখান থেকে অলৌকিক সিঁড়ির মাধ্যমে সপ্ত আসমান পেরিয়ে আরশে আল্লাহর সান্নিধ্যে গমন পুনরায় বায়তুল মুক্বাদ্দাস হয়ে বোরাক্বে আরোহণ করে প্রভাতের আগেই মক্কায় নিজ গৃহে প্রত্যাবর্তনের ঘটনাকে ‘মেরাজ’ বলা হয়। মেরাজ সম্পর্কে আল্লাহ পবিত্র কুরআন শরীফে বলেন-“পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্ত্বা তিনি, যিনি তাঁর স্বীয় বান্দাকে রাতের বেলায় মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করালেন, যার চতুর্দিকে আমার রহমত ঘিরে রেখেছেন-যেন আমি কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই।

পবিত্র শবে মেরাজের ইবাদতঃ

শবে মেরাজ উপলক্ষে বিশেষ কোনো আমলের কথা শরীয়তে উল্লেখ করা হয়নি। তারপরও এ রাতে এতদঞ্চলের ধর্মপ্রাণ মানুষ বিশেষ ইবাদত বন্দেগিতে লিপ্ত  থাকতে পছন্দ করে থাকেন। বিশেষত এ রাতকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মসজিদে কিংবা বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করার প্রথা বহুদিন যাবত্ চলে আসছে। অনেকে এ উপলক্ষে নফল রোজা রাখেন। তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করেন। এর কোনোটিকেই খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। কারণ আল্লাহতায়ালার কাছে বান্দার যে কোনো আমলই মূল্যবান। কোনো বিশেষ ব্যবস্থা বা আয়োজন না করে সাধারণভাবে এ রাতে কবরস্থানে যাওয়া এবং মৃত ব্যক্তিদের জন্যে দোয়া করা ও দরুদ-ইস্তেগফার পাঠ করে দোয়া করা আবশ্যক। কারণ এ রাতে রাসূল (স) মেরাজ ভ্রমণে বেহেশত দোযখ পরিদর্শনকালে জাহান্নামীদের শাস্তি অবলোকন করেছিলেন। আমাদের দোয়া মৃত ব্যক্তিদের সেই শাস্তি কিছুটা হলেও লাঘব করতে পারে।

এ রাতে জাগ্রত থেকে আল্লাহর ইবাদত তথা কুরআন তেলাওয়াত করা, অধিকহারে দরুদ পাঠ করা এবং নফল নামাজ পড়া যেতে পারে। কারণ এ রাতেই মহান আল্লাহ মহানবী (স)-এর মাধ্যমে উম্মতের জন্য নামাজ ফরজ করেন। হাদীস শরীফে ইরশাদ রয়েছে, নবী করীম (স) বলেন, কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসেব হবে। তাই ফরজ নামাজ ঠিক রেখে নফল নামাজ যত বেশি পড়া যায় ততই আল্লাহর রহমতের ছায়াতলে ঠাঁই পাওয়া সহজ হবে। এক হাদীসে রয়েছে, ফরজের পর নফল নামাজের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর রহমতের যত নিকটবর্তী হয়, অন্য কোনো আমলে তা সম্ভব হয় না। তাই এ রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া যেতে পারে। তবে নামাজের জন্য রাকাত সংখ্যার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই; বরং এই রাতে সামর্থ অনুযায়ী জামাত ব্যতীত অনির্দিষ্টভাবে নফল নামাজ পড়া এবং নিজের ও সকল মুসলমানের জন্য দোয়া করা উচিত। শবে মেরাজে নামাজের রাকাত সংখ্যা বাড়ানোর মধ্যেই প্রকৃত পুণ্যতা নয়; বরং একাগ্র ও আন্তরিকতা সহকারে অল্পসংখ্যক নামাজই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যথেষ্ট। তাছাড়া সকল প্রকার নামাজেই সূরা ফাতিহা ব্যতীত অন্য কোনো সূরা নির্দিষ্ট নেই। যার কাছে যেভাবে সহজ মনে হবে, সেভাবেই নামাজ আদায় করে নেবেন। শবে মেরাজের পরদিন অর্থাত্ ২৭ রজব নফল রোজা রাখা যেতে পারে। বর্ণিত আছে, রাসূলে আকরাম (স) যখন মেরাজ ভ্রমণে যান তখন তিনি রোজা অবস্থায় ছিলেন। তাই তাঁর স্মরণে রোজা পালন করা অবশ্যই ফজিলত হিসেবে গণ্য হবে। তবে যে কোনো নফল রোজার ক্ষেত্রে শরীয়তের বিশেষ মূল নীতি হলো, অন্তত একসঙ্গে দুটি রোজা রাখা। রাসূল (স) ইরশাদ করেছেন, ইহুদিরা একটি রোজা রাখে। তোমরা তাদের বিরোধিতা ও আল্লাহর অধিক সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্ত অন্তত দুটি রোজা রাখো। তাই রজবের ২৬-২৭ বা ২৭-২৮ তারিখে এই রোজা রাখা উত্তম।

লেখা মিডি মর্নিং থেকে:





Calendar

April 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  



  1. © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2017 sylhet71news.com
Design BY Sylhet Hosting
sylhet71newsbd