১০ নভেম্বর গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক কমিটির উদ্যোগে মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় দক্ষিন সুরমাস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক ইশরাকুল হোসেন শামীম এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আহসান হাবিব মঈনের পরিচালনায় সভায় বক্তারা বলেন, ১০ নভেম্বর সামরিক শাসনের অবসানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন পথচলা শুরু। আজকের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্র মূলত তখন থেকেই পূর্ণতা লাভ করে।
১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর সপ্তম সংশোধনী পাস হওয়ার দিনেই তৎকালিন রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে দেশ থেকে সামরিক আইন তুলে নেয়ার ঘোষণা দেন। এ ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘স্থগিত সংবিধান পুনরুজ্জীবিত করা হল। গণতন্ত্র উত্তরণের যে পবিত্র প্রতিশ্রুতি আমি সাড়ে চার বছর আগে দিয়েছিলাম, আজ তার শেষ ধাপটি আমরা অতিক্রম করলাম। তাই আর কোনো বিদ্বেষ নয়, সংঘাত নয়, দলীয় সংকীর্ণতা নয়, আসুন দেশ ও জাতিকে আমরা সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দেই। গণতন্ত্রের যে বীজ আজ অঙ্কুরিত হল- আমাদের সযতœ লালনে তা মহীরুহ হবে।
সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক ইশরাকুল হোসেন শামীম এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আহসান হাবিব মঈনের পরিচালনায় জরুরী সভায় উপস্থিত ছিলেন, সিনিঃ যুগ্ম আহবায়ক জহির উদ্দিন পল্টু, যুগ্ম আহবায়ক বাহার খন্দকার, মুজিবুর রহমান মুজিব, অতিরিক্ত সদস্য সচিব বাশির আহমদ, সদস্য (দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক)মামুনুর রশীদ মামুন, জাপা নেতা শেখ আসাদুজ্জামান জুবায়ের, ফয়জুর রহমান গেদুল, জিলু মিয়া, আফসর আহমদ, কেএম হাসান প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে ইশরাকুল হোসেন শামীম বলেন, ১৯৯০ সালের নভেম্বরে তৎকালিন বিরোধী দল গণতন্ত্রকে নসাৎ করতে হত্যা জ্বালাও পোড়াও মানুষ হত্যার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। সেসময় জাপা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু এরশাদ দেশের সম্পদ রক্ষা এবং জনগণকে সম্পূর্ন রূপে নিরাপদ রাখতে বিনা রক্তপাতে দেশের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখিয়ে ক্ষমতা হস্থান্তর করেছিলেন, আজ সেই গনতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। অথচ এদেশের বুদ্ধিজীবিসহ রাজনীতিবিদরা এব্যাপারে নিরব ভূমিকা পালন করছেন। তিনি পল্লীবন্ধুর আর্দশ বাস্তবায়নে জাপা নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।