অবশেষে শেষ হাসিটা জো বাইডেনই হাসলেন। নানা হিসাব নিকাশের অবসান ঘটিয়ে তিনিই এখন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। সিএনএন-এর পূর্বাভাস অনুযায়ী, জো বাইডেনের প্রাপ্ত ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা ২৭৩। বিবিসি’র পূর্বাভাসও তাই বলছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসছে জানুয়ারিতে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন, যদিও তা নির্ভর করবে আইনগত চ্যালেঞ্জের ফলাফলের ওপর।
ভোটের ফলাফলের হিসাবে পেনসিলভেনিয়ায় জো বাইডেনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। পেনসিলভেনিয়ায় জেতার মাধ্যমে বাইডেন সেখানকার ২০টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে গেলেন।
এদিকে, জো বাইডেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলা হ্যারিসকে সঙ্গে করে হোয়াইট হাউজের টিকিট কেটে ফেলেছেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে প্রয়োজন হয় ২৭০ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। কিন্তু ফক্স নিউজের হিসাবে গত তিন দিন ধরে জো বাইডেন ২৬৪ তে এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প ২১৪ তে আটকে ছিলেন।
বিবিসি, সিএনএনের হিসাবে নিশ্চিত ২৫৩ টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন বাইডেন। ট্রাম্প পেয়েছিলেন ২১৪। এ সময়ে নানা হিসাব নিকাশ, জল্পনা-কল্পনা চলতে থাকে। সমীকরনটি এসে দাঁড়ায় ‘যদি’ এবং ‘কিন্তু’তে।
বিভিন্ন মিডিয়ায় বলা হয়, নেভাদায় অনেক এগিয়ে আছেন বাইডেন। সেখানকার ৬টি ভোট হলেই তার হোয়াইট হাউজের দৌড় পূর্ণ হয়। তার সঙ্গে যোগ হয় ব্যাটলগ্রাউন্ড বলে পরিচিত পেনসিলভেনিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া। এসব রাজ্যে প্রথম দিকে পিছিয়ে থাকলেও গত শুক্রবার চমক সৃষ্টি করে ট্রাম্পকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যান জো বাইডেন। নাটকীয়তা দেখাতে থাকেন পেনসিলভেনিয়াতেও। সেখানে তিনি আস্তে আস্তে প্রায় ২৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে যান। এ রাজ্যে আছে ২০টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট। বিবিসিসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় তিনি ২৫৩টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়। তার সঙ্গে যোগ হলো পেনসিলভেনিয়ার ফল। এতে জো বাইডেন আরো ২০টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেলেন। ২৫৩ এর সঙ্গে যোগ হলো ২০। ফলে বিবিসি বা সিএনএনের হিসাবে এখন তার ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭৩। অন্য রাজ্যগুলোতে কি হচ্ছে সেদিকে ফিরে তাকানোর ফুরসৎ এখন আর নেই বাইডেনের। তাকে এখন ডাকছে হোয়াইট হাউজ নামের সাদা বাড়িটি। তিনি খুব তাড়াতাড়ি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে পারেন।