সিলেট: আসন্ন পৌরসভা ও ইউনিয়ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধান রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপির কমিটি গঠনের তোড়জোড়, অঙ্গ সংগঠন গুলোর তৎপরতা, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর দলীয় কার্যক্রম সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গন বেশ জমে উঠেছে।
জানা যায়, করোনাকালে বেশ কিছু দিন রাজনৈতিক অঙ্গন ঝিমিয়ে পড়েছিল। সম্প্রতি রাজনীতিবিদরা যেন গা ঝাড়া দিয়ে মাঠে নেমেছেন। রাজনীতি ফিরে পাচ্ছে চিরচেনা রুপ। জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ এর কমিটি গঠনকে সামনে রেখে অনেকটাই বিভক্ত হয়ে পড়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। পাল্টাপাল্টি কিমিটির খসড়া তালিকাও জমা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রে এমনকি নগরীতে মিছিলও করেছেন বঞ্চিত নেতাকর্মী নামের এক পক্ষ। যে কোন সময় আসতে পারে জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি। এনিয়ে আলোচনার ঝড় এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে। অপরদিকে আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠন যুবলীগ ছাত্রলীগের কমিটি নিয়েও মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা নড়েচড়ে বসেছেন ।
সম্প্রতি বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সিলেটে ব্যাপক কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। যদিও এর কিছু দিন আগে বিভিন উপজেলা আহবায়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য আহবায়ক কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন। পরে কেন্দ্রিয় একটি টিম এসে সমন্বয় করে ঠিক করেদেন। দলটির সূত্র জানায়, গত কয়েকদিন থেকে যুবদল ও ছাত্রদল কেন্দ্রিয় প্রতিনিধি দল উপজেলা পর্যায়ে দল গোছাতে প্রতি উপজেলায় চষে বেড়াচ্ছেন।
ইতিমধ্যে জাতীয়পার্টির সিলেট জেলা আহবায়ক কমিটি তাদের দলীয় নেতৃবৃন্দকে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে।
আওয়ামীলীগ ও বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, আগামী ডিসেম্বরে সিলেট বিভাগের ১৬ টি পৌরসভা নির্বাচন ও আগামী মার্চ মাসে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা যোগযোগ বাড়াচ্ছেন। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় এলাকায় উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নেতাকর্মীদের সাথে সম্পর্ক বাড়াচ্ছেন এবং জেলা ও কেন্দ্রিয় নেতাদের কাছে দৌড়ঝাপ শুরু করেদিয়েছেন। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের এই নির্বাচনকে সামনে রেখেও বেশ তৎপর রাজনীতিক অঙ্গন ।
বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, রাজনীতির মাঠে রাজনীতি না থাকলে রাজনৈতিক কর্মীদের জন্য বড়ই কষ্টের। রাজনীতিতে কর্মসূচি থাকবে, কমিটি নিয়ে প্রার্থীতা নিয়ে দৌড়ঝাপ গ্রুপিং লবিং থাকবে, প্রতিযোগিতা থাকবে এটিই রাজনীত একটি আর্ট। কিন্তু করোনা আমাদের কাছ থেকে অনেক সময় কেড়ে নিয়েছে। আমরা আবারও রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হয়েছি।
সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার জানান, করোনা দুর্যোগ, বন্যা এসব কারণে কেন্দ্রীয় বিএনপি সকল কর্মসূচী বন্ধ করে দেয়। যার কারনে সিলেটেও কোন কর্মসূচী পালন করা হয়নি। কেন্দ্রের নির্দেশে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সকল ধরণের কর্মসুচী বন্ধ রয়েছে। এখন আর কোনো কর্মসূচী দেয়নি কেন্দ্র। দিলে তা পালন করা হবে।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. লুৎফুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় দল। রাজনীতিতে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা ছিল, আছে এবং থাকবে। তবুও আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করছি- সবার কাছে গ্রহণযোগ্য কমিটি উপহার দিতে।