May 1, 2024, 4:12 am

সংবাদ শিরোনাম :
চোরাচালান লাইনম্যান রুবেল আহমদ বেপরোয়া জমির ধান নষ্ট করে দিলো প্রতিপক্ষ: দিশেহারা কৃষক সিলেটে ইট ভাটা নিয়ে নজিরবিহীন কেঙ্ককারী বিশ্ব গাজায় হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করছে, বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না : প্রধানমন্ত্রী সুজানগর ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদের কমিটি গঠন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত মাওলানা লুৎফুর রহমানের মৃত্যু ”গুজব সংবাদ ফেসবুকে” বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বিজিবির নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) পদে নিয়োগ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জোরালো ভূমিকা নিতে হবে সচিবদের :প্রধানমন্ত্রীর বইমেলা বাঙালি জাতিসত্তা দাঁড় করাতে সহায়ক : কবি নুরুল হুদা দুর্নীতি-অনিয়ম র অভিযোগে ডৌবাড়ী প্রবাসী কল্যাণ ট্রাস্টের ৪ সদস্য বহিষ্কারের অভিযোগ ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী গোয়াইনঘাটের শীর্ষ কুখ্যাত চোরাকারবারী কালা মিয়া বিছানাকান্দি সীমান্তে অবৈধ পথে ঢুকছে ভারতীয় গরু :নেপথ্যে গোলাম হোসেন! বাদাঘাট মসজিদে ৫ লাখ টাকার অনুদান দিলেন সেলিম আহমদ এমপি রতনের আশীর্বাদ : যাদুকাটা গিলে খাচ্ছে রতন-মঞ্জু গোয়াইনঘাটে স্কুলের নামে প্রবাসীর জমি দখল গোয়াইনঘাটে এক শিবির নেতার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ  সিলেটে শেখ হাসিনার প্রথম সফর স্মরণ করে আবহবিচ’র দু’আ মাহফিল শেখ হাসিনার সিলেট শুভাগমণের ৪৩ বছর সোমবার সিলেটে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক এমপির আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা নির্বাচিত সুনামগঞ্জের গোলাম আজম তালুকদার দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মোখা:‘পরিস্থিতি বুঝে’ এসএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে নির্বাচনের ৪ দিন আগে নতুন যে প্রতিশ্রুতি দিলেন এরদোগান উত্তাল পাকিস্তান, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হামলা জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বৈধ বলার সুযোগ নেই আমি প্রেসিডেন্ট থাকলে ইউক্রেন যুদ্ধ ঘটত না: ট্রাম্প কী হচ্ছে, আর কী হবে তা সময়ই বলে দেবে: অপু বিশ্বাস
আওয়ামীলীগের স্বর্ণযুগে কমিটিহীন সিলেট ছাত্রলীগ

আওয়ামীলীগের স্বর্ণযুগে কমিটিহীন সিলেট ছাত্রলীগ

Please Share This Post in Your Social Media

সিলেট:: আওয়ামীলীগের স্বর্ণযুগে কমিটি ছাড়াই চলছে সিলেট ছাত্রলীগ।দীর্ঘদিন থেকে কমিটি না থাকার কারনে দলীয় কার্যক্রমে ছন্দ হারাচ্ছে এই সংগঠন। আওয়ামী লীগের দলীয় সকল কার্যক্রম সফল করে তুলতে ছাত্রলীগের সরব অংশগ্রহণ ছিলো উল্লেখযোগ্য।

স্বাধীনতার আগে থেকেই এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে এ সংগঠন।বায়ান্ন’র এর ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়,আটান্নর আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, বাষট্টি’র শিক্ষা আন্দোলন ও ছেষট্টির ছয় দফা থেকে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করা, সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়লাভ এবং একাত্তর মহান মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ ভূমিকা রাখে এ ছাত্রসংগঠনটি। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিলো প্রশংসনীয়। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অগ্রণী ভূমিকা রাখে ছাত্রলীগ। যার ধারাবাহিকতায় স্বৈরাচার সরকারের পতন হয় এবং গণতান্ত্রিক সরকারের উত্থান হয়।

১/১১’র সামরিক শাসনের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ছাত্র-শিক্ষক সবার মুক্তির দাবিতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ফলশ্রুতিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সব রাজবন্দি মুক্তি্ পায়।এবং ২০০৮ সালে একটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারের যাত্রা শুরু হয়েছিলো।

অথচ, এই সংগঠনের সিলেটে নেই কোন কমিটি।আওয়ামীলীগের স্বর্ণযুগে কমিটি ছাড়া সিলেট ছাত্রলীগের পথচলাকে অভিভাবকহীন ও অশুভকর মনে করছেন অনেকেই।

অনুরুপভাবে ছন্দ হারাচ্ছে আওয়ামীলীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবকলীগ, তাঁতী লীগ এই দুি সংগঠনের জেলা ও মহানগর আহবায়ক কমিটি অনেক আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ। গেলো বছরের ২৭ ও ২৯ জুলাই জেলা ও মহানগর যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেও এখনও হয়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। ফলে কর্মীদের মধ্যে এক ধরণের অস্থিরতা বিরাজ করছে। সব মিলিয়ে এই অবস্থায় সিলেটে ছন্দ হারাচ্ছে অভিভাবক সংগঠন আওয়ামী লীগ।

মহানগর যুবলীগ : গত বছরের ২৭ জুলাই সিলেট মহানগর যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে পরবর্তী তিনবছরের জন্য নেতৃত্ব বেছে নেন কাউন্সিলররা। যুবলীগের তৎকালীন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর উপস্থিতিতে সম্মেলনে মহানগরে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন খান মুক্তি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন মুশফিক জায়গীরদার।

জেলা যুবলীগ : মহানগর যুবলীগের সম্মেলনের ১ দিন বিরতি দিয়ে ২৯ জুলাই সিলেট জেলা যুবলীগের যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে পরবর্তী তিনবছরের জন্য নেতৃত্ব বেছে নেন জেলা কাউন্সিলররা। সম্মেলনে জেলা যুবলীগে ভিপি শামীম আহমদ সভাপতি ও সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য শামীম আহমদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

৯০ দিনের মধ্যে সংগঠন দুটির পূর্ণাঙ্গ কমিটির গঠনের নির্দেশনা থাকলেও সম্মেলনের প্রায় ১ বছর পরও পূর্ণাঙ্গ কমিটি পায়নি জেলা ও মহানগর যুবলীগ। পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা রয়েছেন কমিটি পূর্ণাঙ্গ হওয়ার অপেক্ষায় আর দায়িত্বশীলরা বলছেন, কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে তারা কাজ করছেন।
এদিকে, পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ পেতে আগ্রহীরা নির্বাচিত নেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তবে দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, খুব সতর্কভাবে কমিটি পূর্ণাঙ্গ হবে যাতে কোনো অনুপ্রবেশকারী ঢুকতে না পারে।

এব্যাপারে সিলেট জেলা সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি বলেন, সবাই চায়-দলীয় প্রাণচাঞ্চল্য। দলে কর্মী না থাকলে দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ ধরে রেখেও লাভ নেই। তিনি বলেন, যুবলীগ দেশের একটি বৃহৎ সংগঠন। সবাই জানেন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সবেমাত্র চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এর পর পরই শুরু হয়েছে বৈশ্বিক সমস্যা করোনা। তিনি বলেন, জেলা যুবলীগ পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। তবে, এব্যাপারে কেন্দ্রের গ্রিন সিগন্যাল আসতে হবে। আমরা সেই সিগন্যালের অপেক্ষায়।

মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ : মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর। পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর সিলেট মহানগর কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। ওইদিন শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে এ কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ। ওই কমিটিতে মহানগরের সভাপতির দায়িত্ব লাভ করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জেলার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আফতাব হোসেন খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি হয়েছেন মুহিব উস সালাম রিজভি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ লাভ করেন সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দেবাংশু দাস মিঠু।

জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ : জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর। পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলা ও মহানগর কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। ওইদিন শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে এ কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ। ঘোষিত কমিটিতে জেলা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব লাভ করেন সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আফসার আজিজ ও সাধারণ সম্পাদকের পদ লাভ করেন জালাল উদ্দিন কয়েস।
এই কমিটি গঠনের প্রায় ৪ বছর সাত মাস অতিবাহিত হলেও নতুন করে সম্মেলনের উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্টদের।

এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু বলেন, করোনাকালেও মাঠে বসে থাকেনি স্বেচ্ছাসেবকলীগ। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাধারণ মানুষের কাতারে সামিল হয়ে করোনা মোকাবেলায় কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এর পাশাপাশি সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো মজবুত করার লক্ষে মহানগরীর মোট ১৪ টি ওয়ার্ডে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন করে কমিটি গঠন কিংবা সম্মেলন করার জন্য মহানগর কমিটি প্রস্তুত রয়েছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা আসলেই নতুন কমিটি কিংবা সম্মেলনের দিকে যাত্রা করবে মহানগর কমিটি।

মহানগর তাঁতী লীগ : সিলেট মহানগর তাঁতী লীগের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন পায় ২০১৮ সালের ১৭ নভেম্বর। ওই বছরের ৩১ অক্টোবর এ কমিটি অনুমোদন হলেও ১৭ নভেম্বর রাতে তা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এ কমিটির আহবায়ক করা হয় নোমান আহমদকে এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে শেখ আবুল হাসনাত বুলবুলকে। এছাড়া যুগ্ম আহবায়ক হয়েছেন আরাফাত চৌধুরী আজাদ, মো. মোজাম্মেল আলী, কামরুজ্জামান কামরুল, আসাদুজ্জামান খান জুয়েল এবং হাবিবুর রহমান খোকন।

কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন- মীর্জা শোয়েব আহমদ, তপন চন্দ্র পাল, নুরুজ্জামান রাজা, আবুল মোমিন, পারভেজ আহমদ রাজু, বাবুল আহমদ, মো. শাহজাহান, ডা. সুমন কান্তি দত্ত, মফিজুর রহমান, শাহাব উদ্দিন চৌধুরী, আশরাফ আলী, শামীম খান, লিমন এষ, বাবুল আহমদ, জুয়েল আহমদ, মুরাদ হোসেন বাবু এবং বিদ্যুৎ তরফদার রিংকু।
আহবায়ক কমিটিকে ৬ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা বেধে দিলেও সেই নির্দেশনা আজো আলোর মুখ দেখেনি।

এব্যাপারে সংগঠনের মহানগর সদস্য সচিব শেখ আবুল হাসনাত বুলবুল বলেন, ‘নতুন কমিটি গঠন বা সম্মেলন মানেই দলীয় প্রাণচাঞ্চল্যতা। সবাই সংগঠনে কাজ করে নিজের যোগ্যতা অর্জন করতে চায়। সিলেট মহানগর তাঁতীলীগ দলের সাংগঠনিক কাঠামো মজবুত করার লক্ষ্যে শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। ঠিক একইভাবে নতুন কমিটি কিংবা সম্মেলনের দিকেও যাত্রা করতে পুরোপুরি প্রস্তুত। তিনি বলেন, এব্যাপারে এখনো কেন্দ্রীয় কোনো নির্দেশনা আসেনি। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা পেলে অবশ্যই কমিটি গঠনের কাজে মাঠে থাকবে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

জেলা তাঁতী লীগ : সিলেট জেলা শাখা তাঁতী লীগের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন পায় ২০১৮ সালের ১৭ নভেম্বর। ওই বছরের ৩১ অক্টোবর এ কমিটি অনুমোদন হলেও ১৭ নভেম্বর রাতে তা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় কমিটি।

অনুমোদন তারিখ থেকে পরবর্তী ৬ মাসের জন্য গঠিত কমিটিতে আহবায়ক করা হয় আলমীগ হোসেনকে এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে সুজন দেবনাথকে। এছাড়া ওই কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক মনোনীত হন আলমগীর হোসেন আলম, মাসুদ আহমদ, আহমদ ইফতিয়ার হানিফ, জুবেল আহমদ িেজবল এবং কাজী মো. হাকীম রাজা।

কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন- কালাম আহমেদ, সালমান আহমেদ চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, আহমেদুল কবির, শেখ কামাল মিয়া, বদরুল আহমদ, আব্দুস সালাম, আমির আলী, সৈয়দ আহমদ হালিম, রিপন হাওলাদার, মীর্জ আলমগীর বেগ, আব্দুর রহমান টেংকু, দেলোয়ার হোসেন, জাবরুল আসলাম, আমীর খান, আলাজুর রহমান, বিজয় চন্দ্র দাস, আব্দুল আহাদ, রতন দেবনাথ, এম এ পলাশ, শেখ কবির জনি, কুদরত এ লতিফ শামিম, জালাল আহমদ, সালমান আহমদ চৌধুরী, খলিলুর রহমান, জাকির হোসাইন, হাছান আহমদ, লিটন আহমদ, রোকসানা আহমদ পলি, আব্দুর রাজ্জাক, জাহেদ আহমদ, কাল্লু আহমদ, সিরাজুল ইসলাম রাজ, এড. আরিফ আহমদ, রাজন রায় চৌধুরী, হামিদুর রহমান দুলাল, মিঠু রায়, জাবের আহমদ, প্রভাত রঞ্জন চন্দ্র, শাহরিয়ার জাবেদ, মো. জলিল, শাহাবুদ্দিন শাবু, মো. সুরুজ আলী ও খালিক নুর।
মহানগর ছাত্রলীগ : আলোর মুখ দেখেনি সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি। ফলে কমিটি ছাড়াই বিভিন্ন গ্রুপ-উপগ্রুপে বিভক্ত হয়ে চলছে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ।

২০১৫ সালের ২০ জুলাই আব্দুল বাছিত রুম্মানকে সভাপতি ও আব্দুল আলীম তুষারকে সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর ছাত্রলীগের ৪ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রায় ৪ বছরেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে না পারা এবং নানা অভিযোগে ওই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা। সেই সাথে সাধারণ সম্পাদককে করা হয় বহিষ্কার। এছাড়া এদিনই নতুন কমিটি গঠন করার জন্য ১ নভেম্বরের মধ্যে পদপ্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত (সিভি) জমা দেয়ার নির্দেশ দেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। এ নির্দেশে পদপ্রত্যাশীরা জীবন বৃত্তান্ত জমা দিলেও হয়নি কমিটি। এরপর ২৬ জানুয়ারি আবার মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম তুষারের উপর আরোপিত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কিন্তু উদ্যোগ নেই নতুন কমিটি গঠনের।

জেলা ছাত্রলীগ : সিলেটে অস্তিত্ব সংকটে ছাত্রলীগ এর প্রমান মিলেছে গেলো মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ২০ দিনব্যাপি অনুষ্ঠানে। এই অনুষ্ঠানে এক একদিন দলের অঙ্গসহযোগী এবং পেশাজীবী সংগঠনকে অনুষ্ঠান করার সুযোগ দেয়া হলেও সেখানে অংশ গ্রহণের সুযোগ ছিলোনা ছাত্রলীগের। কমিটি না থাকায় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণেই ছাত্রলীগকে এ অনুষ্ঠানে সুযোগ দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
অভ্যন্তরীণ নানা কোন্দল এবং সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরোধের কারণে নতুন কমিটি আলোর মুখ দেখছে না। আর একাধিকবার কমিটি গঠনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় নতুন করে সিলেট জেলা কমিটি গঠনে উদ্যোগ নেই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগেরও।

সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটি গঠন করা হয় ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। শাহরিয়ার আলম সামাদকে সভাপতি ও এম. রায়হান চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে সে সময় গঠন করা হয় ১০ সদস্যের আংশিক কমিটি। পরের বছর ২০১৫ সালের ৪ ডিসেম্বর আরো ১৩১ সদস্য যোগ করে ১৪১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন পায়। এই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পর থেকেই প্রকাশ্যে দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে পরে জেলা ছাত্রলীগ। ঘটে সংঘর্ষ এবং একাধিক উত্তেজনাকর ঘটনা। যার ফলে মাত্র চার মাসের মাথায় ২০১৬ সালের ২৫ মার্চ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করে কেন্দ্র।

কমিটি স্থগিত হওয়ার পর বেশকিছু দিন শান্ত ছিল জেলা ছাত্রলীগ। এ কারণে কমিটি গঠনের ৯ মাস পর ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর কমিটির ওপর থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের সাথে নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সম্মেলন আয়োজনের জন্য তারিখ নির্ধারণে নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কিন্তু সম্মেলন করতে ব্যর্থ হয় সামাদ-রায়হান নেতৃত্বাধীন কমিটি। এরপর সংগঠন বিরোধী কয়েকটি কার্যকলাপে জেলা ছাত্রলীগের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় বিব্রত হয় কেন্দ্রীয় সংসদ।

২০১৭ সালের অক্টোবরে ছাত্রলীগ কর্মী ওমর মিয়াদ হত্যা মামলায় জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক এম. রায়হান চৌধুরী প্রধান আসামী হন। এর জেরে ওই বছরের ১৮ অক্টোবর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তৎকালীণ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন।

একইসাথে নতুন কমিটি গঠনের জন্য ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদে জীববৃত্তান্ত আহবান করেন তারা। কিন্তু সিভি নিয়েও কমিটি করতে পারেনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এর ফলে ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে এখনো কমিটি ছাড়াই চলছে সিলেট জেলা ছাত্রলীগ।

এব্যাপারে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম তুষার বলেন, কমিটি না থাকায় সিলেটে ছাত্রলীগ এখন অস্থিত্ব হারানোর পথে। কারো দলীয় পরিচয় না থাকায় সবাই পরস্পর থেকে বিচ্ছন্ন। এই অবস্থায় ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠন সিলেটে তার অতীত গৌরব হারাতে বসেছে। বছরের পর বছর কমিটিহীন থাকায় ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে ফায়দা লুঠছে ছাত্রলীগ নামধারী একটি অসাধু চক্র। কেই কেউ ছিনতাই কার্যক্রমেও লিপ্ত রয়েছেন। কেউ আবার কমিটি না থাকায় প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছেন। আর এই সব কিছুর জন্য দায়ি সংগঠনে সম্মেলন না করা। তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের এই ব্যাপারে আশু হস্তক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।

এদিকে কমিটি না থাকায় দিন দিন সিলেটে অবস্থান হারাচ্ছে ছাত্রলীগ। ২০১৫ সালের পর থেকে কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় অনেক নেতাকর্মী দীর্ঘদিন রাজনীতি করে পদ পাননি। এই ক্ষোভে অনেকে হয়েছেন প্রবাসী, কেউ কেউ আবার ছাত্ররাজনীতি বাদ দিয়ে যোগ দিয়েছেন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগে।

সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও কমিটিবিহীন ছিল সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ। দলীয় বিভিন্ন কর্মকান্ডেও দেখা গেছে এর প্রভাব।





Calendar

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031



  1. © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2017 sylhet71news.com
Design BY Sylhet Hosting
sylhet71newsbd