সিলেট: সিলেটে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালনা রোধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সড়ক পরিবহন আইন ও ট্রাফিকের নিয়ম-নীতি না মানা মোটর সাইকেল চালকদের বিরুদ্ধে সোমবার (২৭ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের মতো বিমানবন্দর রোডসহ নগরীর বিভিন্ন সড়কে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) ট্রাফিক বিভাগ অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানকালে ২টি প্রসিকিউশন দাখিল ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন প্রকারের ২৯ টি যানবাহন ডাম্পিং করা হয়। এছাড়া যানবাহনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিক প্রদর্শনকারী চালকদের পুলিশের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়েছে। এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার জানান, মোটরসাইকেলে চালক ব্যতীত একজনের বেশি আরোহী, চালক ও আরোহী উভয়েই সঠিকভাবে হেলমেট ব্যবহার না করা, বৈধ কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত মোটরসাইকেল চালানো, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানো, উচ্চ শব্দ সৃষ্টিকারী সাইলেন্সার ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণ, মোটরসাইকেলের লুকিং গ্লাস খোলা এবং উল্টোপথে গাড়ি চালানোর অপরাধে মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে সোমবার অভিযান চালায় মহানগর পুলিশের (এসএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। অভিযানকালে ২টি প্রসিকিউশন দাখিল ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন প্রকারের ২৯ টি যানবাহন ডাম্পিং এবং যানবাহনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিক প্রদর্শনকারী চালকদের পুলিশের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। এছাড়াও চালক এবং পথচারীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মাইকিং করেছে ট্রাফিক পুলিশ। মাইকিংয়ের মাধ্যমে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে সবাইকে আহবান জানায় পুলিশ। রাস্তা পারাপারে সতর্কতা, মোবাইল ফোনে কথা বলা অবস্থায় রাস্তা পারাপার না হওয়া, ফুটপাত ব্যবহার করা, রাস্তার ডান পাশ দিয়ে চলা, রাস্তা পারাপারে জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করার বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হয়। এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, ‘পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে জনগণ যাতে নিরাপদে চলাচল করতে পারে সে লক্ষ্যে মাননীয় পুলিশ কমিশনার এবং উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) এর নির্দেশনায় এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। যা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।’ জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে সিলেটের সড়কে অন্যান্য যানবাহনের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। এ সুযোগে মোটরসাইকেল চালকরা হয়ে ওঠেছেন বেপরোয়া। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে, জনসাধারণের জীবন নিরাপদ রাখতে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) ট্রাফিক বিভাগ অভিযান শুরু করেছে।