সিলেট৭১নিউজ:: দক্ষিণ সুরমার কদমতলী চত্ত¡রস্থ নেওয়া কর্ণারে অবস্থিত মেসার্স মোনায়েম খান বাবুল এর স্বত্তাধিকারী, সিলেটের প্রতিষ্টিত ব্যবসায়ী তেতলী ইউনিয়নের ভালকী গ্রামের বাসিন্দ মোনায়েম খান বাবুল এর বাড়িতে দুর্র্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত ২৭ জানুয়ারী সোমবার ভোররাতে ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা নগদ ৯৫হাজার টাকাসহ, প্রায়১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৩টি মোবাইল ফোনসহ সর্বমোট ৯লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে।
ব্যবসায়ী মোনায়েম খান বাবুল জানান, ২৭জানুয়ারী সোমবার রাত ২টার দিকে আমার বাড়ির পাহাদার আবুল কালাম আজাদকে হাত, পা ও মুখ বেধে রেখে বাড়ির মূল দরজা ভেঙ্গে ১০-১৫ জন ডাকাত ঘরে প্রবেশ করে। প্রথমেই ডাকাত সদস্যরা হানা দেয় মেজো ছেলে ইব্ররাহিম আল সামুন এর রুমে। তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার দু’হাত পিছন দিক থেকে বেধে এবং আমার রুমে প্রবেশ করে আমাকেও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমার ঘরে লুটপাট চালায়। আমার স্ত্রী প্রাণভয়ে ঘরের সব চাবী তাদের হাতে দিয়ে দেন। তারা চাবী নিয়ে আমার শোয়ার ঘরসহ সবকটি রুমে প্রবেশ করে আলমারী ও ওয়াড্রপে রক্ষিত নগদ ৯৫হাজার টাকা (বিভিন্ন দেশের ডলার, রিয়াল, পাউন্ডসহ) সহ প্রায় পনের ভরি স্বর্ণালঙ্কার, তিনটি মোবাইল সেট নিয়ে যায়।
তিনি জানান- ডাকাতরা মালামাল লুটে কার যোগে পালিয়ে যায়। তাদের আর্তচিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে উদ্ধার করেন এবং পাহারাদার আবুল কালাম আজাদকে বাড়ীর পূর্ব দিকের নদীর পাড়ে হাত, পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট এম,এ,জি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
মোনায়েম খান বাবুল ২৮জানুয়ারী ডাকাতির ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ডাকাতির খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি সোহেল রেজা, দক্ষিণ সুরমা এসি ইসমাইল হোসেন এবং দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খায়রুল ফজল মোনায়েম খান বাবুলের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন এবং ডাকাতির সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ এ ব্যাপারে বেশ তৎপর রয়েছে।
দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খায়রুল ফজল আলাপকালে জানান, ভালকীতে সংঘটিত ডাকাতির ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ বেশ তৎপর রয়েছে। ইতিমধ্যে এসএমপির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং এর সাথে জড়িতদের খোজে বের করতে নির্দেশ প্রদান করেছেন।