নিজস্ব প্রতিবেদক : গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের দীর্ঘ পথচলায় ছাত্রলীগ হারিয়েছে তার সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে। তারপরও যারা রয়ে গেছেন ছাত্রলীগের সাথে তারা কখনো শেখ হাসিনাকে ভুলে যাননি। এ যেন ‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে, আমরা আছি তোমার সাথে’- এমনই প্রত্যয়ের এক ছবি। দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে আগলে রেখে, পথ প্রদর্শক হিসেবে রেখে-এগিয়ে চলার ছবি।
শনিবার (জানুয়ারি) গোধুলী লগ্নে ক্যামেরার ক্লিকে সৃষ্টি হলো অনবদ্য সব ছবির। এসব ছবি ইতিহাস আর বতর্মানের গল্প তুলে ধরে। ছাত্রলীগের শুরুর নেতাদের থেকে শুরু করে আজ অবদি। সাথে আছেন সবার স্নেহের, শ্রদ্ধার আর ভালোবাসার এক নাম ‘শেখ হাসিনা’। এ ছবি নিঃসন্দেহে বাঁধাই করে রাখবেন নেতারা। হৃদয়ে মুড়ে রাখবেন মুজিব আদর্শের ছাত্রলীগের অগণিত কর্মীরা।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী উপলক্ষে শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্টেজ থেকে নামার সময় তৈরি হয় অন্যরকম এক আবহের। আপা ‘শেখ হাসিনা’-কে সামনে রেখে পেছনে একে একে দাঁড়িয়ে পড়েন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। প্রধানমন্ত্রীর দুই পাশে দাঁড়ান ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য জয়। ছবিতে ছিলেন সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ সাবেক সভাপতি তোফায়েল আহমদ।
ছাত্রলীগের এ অনুষ্ঠানের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকে বাহবা দিতে থাকেন। দেশব্যাপী ছাত্রলীগের অনেক প্রবীন নেতাকর্মী সাবেকদের ছবিতে দেখে পুরনো দিনের কথা মন্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে পরিচয় করিয়ে দেন।