পুরনো কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন তিনবারের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ ও সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য রফিকুর রহমান। তিনি বর্তমানে তিনি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অন্যদিকে আগেই উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন- সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, এডভোকেট আবু নসর ও গত নির্বাচনের আগে বিএনপি থেকে আসা ইনাম আহমদ চৌধুরী। তাছাড়া আগের কমিটিতে প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এবারের কমিটিতেও তিনি একই পদে বহাল রয়েছেন। বহাল রয়েছেন বদর উদ্দিন আহমদ কামরানও। তিনিও আগের কমিটির সদস্য ছিলেন, এবারও তিনি সদস্য হিসেবে আছেন। তার সাথে এবার নতুন সদস্য হয়েছেন হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী।
আর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মেডিক্যাল কমিটি’র চেয়ারম্যান, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রি’র পরিচালক এবং বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গত তিন কমিটিতে এ পদে সিলেট থেকে মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ দায়িত্ব পালন করেন। তবে এবার আর তাকে কেন্দ্রীয় কমিটির কোথাও রাখা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ৯টার পর আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। ঘোষিত ৮১ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটিতে কোষাধ্যক্ষসহ ৪টি পদ ছাড়া বাকি পদ ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি চারটি পরে জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে সিলেটের রাজনীতিতে স্বচ্ছ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীও কেন্দ্রীয় সদস্য পদের জন্য আলোচনায় ছিলেন। তবে তাদেরকে কোন পদের জন্য বিবেচনা করা হয়নি। অথচ চলতি মাসের ৫ ডিসেম্বর সিলেট জেরা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পরপর ঘোষিত নতুন কমিটিতে এ দুই নেতাকে না রাখায় শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা।
তখন সিলেটজুড়ে আলোচনা চাউর হয় এ দুই নেতাকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেয়া হবে। সেজন্য মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে আসাদ উদ্দিন আহমদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থেকে শফিকুর রহমান চৌধুরীকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এরপর আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে এ দুই নেতার অনুসারীরা প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন। তবে জাতীয় কাউন্সিলের প্রথম ধাপে এ দুই নেতার স্থান না হলেও আশায় ছিলেন ‘শূন্য’ পদে তাদের নেয়া হবে। কিন্তু এখানেও তাদের বিবেচনা করা হয়নি।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পেতে সিলেট বিভাগের যারা আলোচনায় ছিলেন, তারা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য এবং সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও ছিলেন। মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেসার আহমদ, জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ এমপি, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মতিউর রহমান।
অন্যদিকে সিলেটের নারী নেত্রীদের মধ্যে দলটির সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের স্ত্রী জয়া সেন গুপ্তা, সাবেক এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর স্ত্রী ও সাবেক এমপি সায়েরা মহসিনও আলোচনায় ছিলেন।