নিজম্ব প্রতিবেদক::যেকোন সময় তিনি ঘোষণা করতে পারেন সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা কমিটি। জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতারা কাউন্সিলের মাধ্যমে উপজেলা কমিটি দিতে ব্যর্থ হওয়ার পর শেষ পর্যন্ত বিষয়টি গড়িয়েছে দলের সভানেত্রীর কাছে। এদিকে নতুন কমিটিতে স্থান পেতে দলের পদ-প্রত্যাশীরা এখন অবস্থান করছেন ঢাকায়।
জানা যায়, দীর্ঘ ১৫ বছর পর ১৩ নভেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হওয়ার কথা ছিল। এ নিয়ে অনেক তোলজোড় হয় উপজেলাজুড়ে। এদিন শত শত কাউন্সিলররাও আসেন উপজেলা চত্ত্বরে আসেন তাদের ভেটাধিকার প্রয়োগ করে নেতা নির্বাচন করতে। দিনের প্রথমভাগে কর্মী সমাবেশ সফল হলেও বিকেলে পন্ড হয় কাউন্সিল।
বহুল প্রতিক্ষিত এ কাউন্সিলের পরিবর্তে নোতারা ‘সমঝোতার’র প্রস্তাব দিলে শেষ পর্যন্ত তা ভন্ডল হয়ে যায়। এময় কাউন্সিলর সহ দলীয় নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়লে কমিটি ঘোষণা না করেই পুলিশ প্রহরায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ সহ জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কাউন্সিলস্থল ত্যাগ করেন। এর পর বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে দলীয় নেতাকর্মীরা। তারা সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে ৫ ডিসেম্বর জেলা আ’লীগের সম্মেলনের আগে উপজেলা কমিটি কমিটি ঘোষণার আশ্বাস দেন জেলা নেতৃবৃন্দ। এরপর উপজেলা আ’লীগের তৃনমূলের নেতাকর্মীরা গণপদত্যাগের হুমকি দিয়েছে বলে কোন টিআর কাবিখা লুটপাটকারীদের যেন কমিটিতে ঠাই না দেয়া হয়। কোন ‘পকেট কমিটি’ তারা মেনে নেবেন না। ‘পকেট কমিটি’ দিলে তারা দল থেকে পদত্যাগ করবেন।
দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির সিদ্ধান্ত এখন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার ও প্রধানমন্ত্রীর হাতে। গত শনিবার দলের পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সিলেটের এক প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা (যিনি বর্তমানে উপজেলা আ’লীগে দায়িত্বশীল পদে আছন)। তিনি উপজেলা আ’লীগের কমিটি নিয়ে বিস্তারিত জানান দলের সভানেত্রীকে। এরপর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত আহমদ হোসেনের সাথে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি গোলাপগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের কমিটি তাকে অবহিত না করে যেন দেয়া না হয়, সে বিষয়ে আহমদ হোসেনকে নির্দেশ দেন তিনি। এখন সয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত দেবেন উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের বিষয়ে। এদিকে যেকোন সময় উপজেলা কমিটি ঘোষণা হতে পারে-এমন আশংকায় রয়েছেন দলের পদ-প্রত্যাশীরা। বর্তমানে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা অবস্থান করছেন ঢাকায়। ওখানে তারা কমিটিতে আসতে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।