সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত কমিটি নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু জাহিদকে লাঞ্ছিত করেছে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টায় দক্ষিণ সুরমা চন্ডিপুল মোড়ে চেয়ারম্যান আবু জাহিদের ব্যবহৃত সরকারী গাড়ি আটকিয়ে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে । সোস্যাল মিডিয়াও তার বর্হিপ্রকাশ ঘটছে।
তবে চেয়ারম্যান আবু জাহিদ জানিয়েছেন উপজেলা কমিটি নিয়ে সামান্য সমস্যা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ ১৫ বছর পর সোমবার (২৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন।
সে সম্মেলনে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য বলয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। আর হাবিব বলয় থেকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী দেয়া হয় বদরুল ইসলামকে।
কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু জাহিদ প্রার্থী দেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও মোগলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম শাইস্তাকে।
যার ফলে নিশ্চিত বিজয় থেকে ছিটকে যান বদরুল ইসলাম। এ নিয়ে ক্ষোভে ফুসে উঠে হাবিব বলয়ের নেতাকর্মীরা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহিদ তার কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে চন্ডিপুল মোড়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জাহিদের গাড়ির সামনে মোটরসাইকেল রেখে আটকিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে গাড়িতে কিল, ঘুষি ও লাথি মারে। প্রায় আধাঘণ্টা পর পরিস্থিতি শান্ত হলে আবু জাহিদ চলে যান।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহিদ জানান, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে চন্ডিপুলে কিছু সমস্যা হয়েছে। তবে তার গাড়ি কেউ আটকায়নি।
তিনি আরো জানান, আর ওই সময় কয়েকজন বলেছেন যে কমিটি নিয়ে আপনি খুশিতো…?
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি পদে ১৫৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল আলম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শাহ সমির উদ্দিন ৯৩ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া আব্দুর রব ৫৭ ভোট, তপন চন্দ্র পাল ২৭ ভোট, মকবুল হোসেন মাখন ২১ ভোট ও শাহেদ আহমদ ৯ ভোট পেয়েছেন। সভাপতি পদে ৬ জন প্রার্থী ছিলেন।
এদিকে ১০৯ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন এডভোকেট শামীম আহমদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বদরুল ইসলাম পেয়েছেন ১০১ ভোট। এছাড়া রাজ্জাক হোসেন ৮৮ ভোট, ফখরুল ইসলাম শায়েস্তা ৬৪ ভোট পেয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন প্রার্থী ছিলেন।