সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগে সম্মেলনের মাধ্যমে আসবে নতুন নেতৃত্ব। এবার উভয় শাখায় সাধারণ সম্পাদক (সেক্রেটারি) পদে নতুন মুখ আসতে পারে বলে জোর গুঞ্জন রয়েছে। উভয় শাখায় অন্তত ১৪ নেতার নাম এ পদে আলোচিত হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, আগামী ৫ ডিসেম্বর সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
জানা গেছে, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আসতে আগ্রহী অন্তত ৬ নেতা। মহানগর আওয়ামী লীগেও ৬ নেতার নাম আলোচিত হচ্ছে সাধারণ সম্পাদক পদে।
জেলা আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচিতরা হলেন- বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সুজাত আলী রফিক অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, বর্তমান সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ ফরিদ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মশাহিদ আলী ও উপ-দফতর সম্পাদক জগলু চৌধুরী।
এদিকে, মহানগর আওয়ামী লীগে বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, সাংগঠনিক সম্পাদক এটিএম হাসান জেবুল ও শফিউল আলম নাদেল, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ এবং বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জগদীশ চন্দ্র দাসের নাম আলোচিত হচ্ছে।
জানা গেছে, এসব নেতা বর্তমানে দলের কেন্দ্রে জোর লবিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। একইসাথে সিলেটের দলের কাউন্সিলরদের সাথেও রাখছেন নিয়মিত যোগাযোগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতা জানান, সম্মেলনে যদি কাউন্সিলরদের ভোটগ্রহণ করা হয়, সেক্ষেত্রে ভোট পেতে তাদের সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আবার কেন্দ্র যদি নেতৃত্ব বাছাই করে দেয়, সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের নজরে থাকতেই লবিং করা হচ্ছে।
সাধারণ সম্পাদক পদের বিষয়ে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান বলেন, ‘দলের নেতাকর্মীরা চাইছেন। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন নেত্রী (শেখ হাসিনা)। তিনি দায়িত্ব দিলে আমি অবশ্যই তা পালন করবো।’
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক বলেন, ‘সম্মেলনে যদি প্রার্থীতা আহবান করা হয়, তবে শুভাকাক্সক্ষীরা নিশ্চয়ই আমার নাম (সাধারণ সম্পাদক পদে) প্রস্তাব করবেন। তারা যদি মনে করেন, আমার দ্বারা দলকে সুসংগঠিত করা সম্ভব, তবে নিশ্চয়ই নাম আসবে।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমি সংগঠনের সাথে জড়িত। এরশাদবিরোধী, খালেদাবিরোধী, সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম। কারাগারেও গিয়েছি।’
সুজাত আলী রফিক বলেন, ‘নেত্রী (শেখ হাসিনা) যেভাবে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে নেতৃত্ব নির্বাচন করেন…..যদি নেত্রী চান, তবে আমি আছি। দায়িত্ব দেওয়া হলে যথাযথভাবে, নিষ্ঠার সাথে তা পালন করবো।’
জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক জগলু চৌধুরী বলেন, ‘ছাত্রলীগ দিয়ে আমার রাজনীতি শুরু। দীর্ঘকাল ধরে দলের জন্য কাজ করছি। আমার নেত্রী (শেখ হাসিনা) চাইলে আমি দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত আছি।’
এ ব্যাপারে কথা বলতে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল আনোয়ার আলাওর ও শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এটিএম হাসান জেবুল বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য আমি প্রস্তুত আছি। যদি নেত্রী দেন, কাউন্সিলররা চায়, তবে আমি অবশ্যই দায়িত্ব নেব।’